শীতের ছুটিতে কুতুবদিয়া দ্বীপ

0
865

শীতের ছুটিতে কুতুবদিয়া দ্বীপ

দখিনা ডেস্ক: ভ্রমণপিপাসুদের জন্য আদর্শ স্থান সমুদ্র, আকাশের নীল আর সাগরের নীল মিলে এক অপরূপ বিশালতা সৃষ্টি করে। আর এদিক থেকে এদেশের মানুষ  কিছুটা সৌভাগ্যবানই বটে। কেননা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ।  অনেকেই হয়তো জানে না কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি কুতুবদিয়া উপজেলার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের কথা। কক্সবাজার থেকে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার দূরত্বের সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুতুবদিয়া দ্বীপ ।

এটি কুতুবদিয়া চ্যানেল দ্বারা মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। এর আয়তন ৮৩.৩২ বর্গমাইল। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার। দ্বীপটির উত্তর,পশ্চিম ও দক্ষিন তিন দিকেই বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত এবং পূর্বদিকে কুতুবদিয়া চ্যানেল ও মহেশখালী উপজেলা,পেকুয়া উপজেলা এবং চট্টগ্রাম জেলার বাশখালী জেলা অবস্থিত।

এ দ্বীপটি সমুদ্র বক্ষ থেকে জেগে উঠে চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে।পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে এই দ্বীপে মানুষের পদচারণা পাওয়া যায় বলে ধারনা করা হয়।হযরত কুতুবউদ্দীব নামে এক কামেল ব্যক্তি তার কিছু সঙ্গী নিয়ে মগ পর্তুগীজ বিতাড়িত করে এই দ্বীপে আস্তানা স্থাপন করে।অন্যদিকে আরাকান থেকে পলায়নরত মুসলমানেরা চট্টগ্রামের আশেপাশের অঞ্চল থেকে ভাগ্যন্বষনে উক্ত দ্বীপে আসতে শুরু করে।নির্যাতিত মুসলমানের কুতুবউদ্দিনের প্রতি শ্রদ্ধান্তরে কুতুবউদ্দিনের নামানুসারে এ দ্বীপের নামকরন করে কুতুবউদ্দিনের দিয়া,যা পরবর্তীতে কুতুবদিয়া নামে স্বীকৃতি লাভ করে।দ্বীপকে স্থানীয়ভাবে দিয়া বা ডিয়া বলা।বর্তমানে এই দ্বীপের বয়স ৬০০ পেরিয়ে গেছে।এই দ্বীপের আয়তন প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে এবং এখনও সাগরের ঢেউয়ের প্রভাবে ভেঙে সমুদ্রে পরিণত হচ্ছে সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুতুবদিয়া দ্বীপটি।