ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বর্জ্য

0
836

ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক বর্জ্য সংক্ষেপে ই-বর্জ্য বর্তমানে উন্নত বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ ইস্যু । ই-বর্জ্যের ভয়াবহ পরিবেশ ঝুঁকি দিকটি অগ্রাহ্য করতে পারছেনা। 

২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে বারো হাজার কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য সরাসরি পরিবেশে জমা হবে বলে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে ২০৫০ সালে ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য তৈরির পরিমাণ দাঁড়াবে বার্ষিক এক কোটি কুড়ি লাখ টন। জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা ইউএনইপি‘র অধীনে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে সম্পাদিত ব্যাসেল, রটারডাম অ্যান্ড স্টকহোম কনভেনশন্স, বিআরএসএমইএস বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠিত সচিবালয়ের মুখপাত্র চার্লস এভিস গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জেনেভায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য দিয়ে জানান যে ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল বর্জ্যে পরিণত হয়েছে।

ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের মধ্যে আছে মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, ফ্রিজ,  কম্পিউটার-এর মত নিত্যব্যবহার্য্য সামগ্রী। মি এভিস বলছিলেন যে সমস্যা হচ্ছে অনেক দেশেরই এই বর্জ্যপ্রবাহ সমস্যা মোকাবেলার পর্যাপ্ত সামর্থ্য নেই এবং এখানেই ব্যাসেল, রটারডাম অ্যান্ড স্টকহোম কনভেনশন্স, বিআরএসএমইএস সচিবালয় বিশ্ব জুড়ে সরকারগুলোর সঙ্গে এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে। মি এভিস জানান প্লাস্টিক বর্জ্যের বিষয়টি ২০১৯ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত বিপজ্জনক বর্জ্যের আন্তসীমান্ত পরিবহন বিষয়ক সম্মেলনে ব্যাসেল সনদের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এই সনদে বিশ্বের প্রায় ১৮৭টি দেশ অংশ নিয়েছে । যার ফলে, সনদটির বৈশ্বিক পরিব্যাপ্তি রয়েছে বলেও তিনি জানান। এছাড়া ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় প্লাস্টিক বর্জ্য পার্টনারশিপ , যাতে বিভিন্ন খতের প্রায় দেড়শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছে। এই অংশীদারিত্ব এখনও গড়ে উঠছে এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এর আনুষ্ঠানিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। মি এভিস জানান যে আগামী বছরের ১ লা জানুয়ারি বেশ কয়েকধরণের প্লাস্টিক বর্জ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাসেল চুক্তির বিষয় হিসাবে পরিগণিত হবে। যার মানে হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য রপ্তানির আগে তা গ্রহণকারী দেশের সম্মতি, তাদের প্রস্তুতি এবং সেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সামর্থ্যের প্রমাণ ছাড়া এসব বর্জ্য স্থানান্তর করা যাবে না। সেজন্যে প্রত্যেকটি দেশের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ বিশেষভাবে গুরুত্বর্পূণ।