করোনা আতঙ্কে নিত্যপণ্য কেনার হিড়িক, সঙ্কট নেই তবুও চড়া দাম

0
468

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া দেশের সব স্থানে চলমান ও অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাণিজ্য মেলা বন্ধ ঘোষণা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের অফিসে না এসে ঘরে বসেই কাজ করতে নির্দেশনা দিচ্ছে।

তাই শপিং মল কিংবা দোকানপাট কখন যে বন্ধ হয়ে যায়, সে আশঙ্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্য বেশি পরিমাণে কিনে বাসায় মজুত করতে শুরু করেছে জনগণ। এতে  কাঁচাবাজারসহ সুপার শপগুলোতে কেনাকাটার হিড়িক পড়েছে। এ সুযোগে চালের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে চাল, ডাল, ডিম পেঁয়াজের কোনো সঙ্কট নেই। তারপরও বাড়ছে দাম।কারণ আতঙ্কে অনেকে নিত্যপণ্য কিনে মজুত করছেন। বাজারে নিত্যপণ্যের চাহিদা বেশি হওয়ায় এ সুযোগে দাম বাড়িয়েছে একদল অসাধু ব্যবসায়ী। এতে বিপাকে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। তাই আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের অধিক পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এই মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ১৯ মার্চ শহরের বিভিন্ন এলাকার কাঁচা-বাজার, সুপার শপ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মেহদীবাগ এলাকার বাসিন্দা তাহেরুন নেছার বাড়ির কাজের ছেলেকে বৃহস্পতিবার ব্যঠারির গলি কাঁচাবাজারে প্রয়োজনীয় বাজার করতে আসে। তিনি দক্ষিনা নিউজকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস সবাইকে অন্তরীন করে রেখেছে, অনেক বড় দেশকে বিপদে ফেলে দিয়েছে । আমাদের দেশে কি হয় বলাতো যয়না, যদি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা-ই আগেভাগেই নিত্যপণ্য একটু বেশি করে কিনে রাখছি।’

গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে দাম কেমন— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাঁচাবাজার কিছুটা এদিক-ওদিক হলেও প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। তবে চালের দাম  বেড়েছে বস্তা প্রতি ৫০০ টাকা। দোকানের মালিক বলেন, গতকাল থেকেই বেচাকেনা কয়েক গুণ বেড়েছে। ঈদের মতই বেচাকেনা।

সুপার শপের ক্যাশ কাউন্টার  দক্ষিনা নিউজকে বলেন, গতকাল আর আজ তাদের আউটলেটে অন্যদিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি বিক্রি হয়েছে। ক্রেতার সংখ্যা এতটাই বেশি ছিল যে, ক্যাশ কাউন্টারে লম্বা লাইন পড়ে যায়। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অবস্থা ছিল।

এদিকে চাল, ডাল, আটা, ময়দা ভোজ্যতেল, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বাজারে অভিযান চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। দাম বেশি নেয়ায় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে এক লাখ ৮৮ হাজার ১৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৪৯৭ জনের। ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।