সামাজিক দূরত্বের নিষেধাজ্ঞা আছে-মানছে না অনেকেই

0
819

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সমগ্র বাংলাদেশকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করার পরেও সংক্রমিত করেনার ভা্ইরাসের মধ্যেই ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন সকালে শত শত মানুষের ভিড় দেখা যায়৷ সেখানে মানা হয় না সামাজিক দূরত্ব৷শুক্রবার সকাল সাতটার কারওয়ান বাজারের মূল সড়কের তাই দেখা যায়৷ ব্যবসায়ী পণ্যের পসরা সাঁজিয়ে বসেছেন আগের মতই৷ একই চিত্র থাকে সবজির আড়তেও৷ দেখে কে বলবে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে? কী ক্রেতা, কী বিক্রেতা সামাজিক দূরত্বের বিধি বিধান দূরত্বের নিষেধাজ্ঞা আছে, মানছেন না অনেকেই৷ আর দশটা স্বাভাবিক সকালের মতই চলে বেচাকেনা৷

স্বাভাবিক দিনের মতই কারওয়ান বাজারের সামনের মূল সড়কে বসেছে মাছের পাইকারি বাজার৷ শত শত মানুষের এই ভিড় সামলানোর কোন চেষ্টা আছে বলে মনে হয় না । কারওয়ান বাজারে জনতা টাওয়ারের কাছে আড়তে দুইজন ব্যবসায়ীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল৷ তাই দুইটি আড়ত লকডাউন করা হয়েছে৷

ঢাকার কাঁঠাল বাগানের চিত্র হচ্ছে, মাছ, মাংসের জন্য সকাল সকালই সেখানে ভিড় করেন ক্রেতারা৷ দূরত্ব বজায় রাখা দূরে থাক একজন আরেকজনের গা ঘেঁষেই কেনাকাটা করছেন ৷ বাজারগুলোতে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থাও দেখা যায়নি ৷ বিক্রেতারা যথারীতি একজন আরেকজনের গা ঘেঁষেই পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছেন৷ ব্যবসা যেমনি চলছে সকালের কাজের ফাঁকে ব্যবসায়ীরা একটু খালি জায়গা পেয়ে চলে চায়ের আড্ডাও৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের একটি জানাজায় কয়েক হাজার মানুষ সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করে জড়ো হয়েছিলেন সেখানকার একটি মাদ্রাসায়৷ মানুষের ভিড় মাদ্রাসার সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও৷ খেলাফত মজলিশ নেতা মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় মানুষের এই জমায়েত ঠেকাতে প্রশাসন আগে থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়নি ৷ সরাইল থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছাড়াও ঢাকা থেকে লোকজন এসেছে৷ আমরা চিন্তাও করতে পারিনি যে এত লোক হবে৷ লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না৷’’

রাজধানীসহ সারাদেশেই ব্যক্তি কিংবা সামাজিক উদ্যোগে দরিদ্র মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ চলছে৷ কিন্তু এই মানবিক উদ্যোগ উল্টো করোনা ছড়াবে কিনা সেই আশংকাও থেকে যায়৷ সরকারিভাবে দেয়া ত্রাণ কার্যক্রমেও থাকে অব্যবস্থাপনা৷ কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও দূরত্ব নিশ্চিত না করেই চলে বিতরণ৷

সামাজিক দূরত্ব না মেনে ভিড় জমিয়ে চলাচলের কারণে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি। নিজে ও পরিবারের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সকলকে আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বার বার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এর পরেও কেউ যদি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সমস্যা সৃষ্টি করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থ্যা গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে ।