বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে তীব্র প্রতিযোগিতা

0
511

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে তীব্র প্রতিযোগিতা

সরওয়ার জাহান

প্রায় ১৬ কোটি ৪৬ লক্ষ মানুষের দেশ বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর(বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় ৬ কোটি ৮০ লাখ লোক কোন না কোন প্রকার উপার্জনী কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন। এদের মধ্যে ৬০.৯৪% বা প্রায় ৪ কোটি ১৪ লাখ জন চাকরি করেন। চাকরিজীবীদের মধ্য থেকে প্রায় ২৩ লাখ সরকারি , প্রায় ৫ লাখ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আর লাখ ছয়েক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের বাদ দিলে বাকি যে ৩ কোটি ৮০ লাখ জন (মোট কর্মজীবীদের ৫৬%)বেসরকারি চাকরি করেন। বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কত সে বিষয়ে কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে এর সংখ্যা যে একে বারে কম নয় ।বাংলাদেশ একটি নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। এখানে পড়াশুনার মূল লক্ষ্যই হলো কর্মসংস্থান। জনসংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে চাকরির বাজার অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক । বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করে কোন সাড়া মেলেনি এমন সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। আবেদনকারীরা প্রায় বলে “সবাই অভিজ্ঞতা চায় আর চাকরি না পেলে অভিজ্ঞতা হবে কি করে? চাকরি খোঁজার অভিজ্ঞতা নিয়ে এভাবেই এক ধরনের হতাশা প্রকাশ করেন আবেদনকারীরা। আর এটাই স্বাভাবিক। তারা আরও বলতে শুনা যায় যে, চাকরির বাজারে অনেক বেশি প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয় । আবার কেউ কেউ চাকরির আবেদন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়াও পান । কিন্তু প্রত্যাশার তুলনায় বেতন কম হওয়ায় বা অনুকূল পরিবেশের না থাকার কারণে অনেকে যোগদান করেন না। অধিকাংশ ডিগ্রিধারী চাকরির আবেদনকারীরা হতাশায় ভুগেন । তারা বুঝতে পারেন না যে কোন দিকে যাবে বা কি করবেন। তারা দিশাহারা থাকেন । বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক পাস করে যারা বের হচ্ছেন তাদের অনেকেরই কর্মজীবন নিয়ে খুব একটা পরিকল্পনা নেই। কি চাকরি করবে কিংবা কোন পেশায় যাবে তার সুস্পষ্ট কোন চিত্র অনেকের সামনেই নেই। চাকরি-প্রার্থী কারো কারো মতে বর্তমানে চাকরি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হলেও সেটির মাধ্যমে খুব কম নিয়োগ হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিচিত লোক ছাড়া চাকরি হয়না । অনেকে ভালো রেজাল্ট করে বসে আছে আবার অনেকে দুর্বল ফলাফল করেও ভালো চাকরি পেয়েছেন।” তবে এটাও সত্য যে, যতই লবিং থাকুক না কেন, যারা মেধাবী তাদের ঠেকিয়ে রাখা যায়না। তারা ভালো চাকরিতে সুযোগ করে নেন। চাকরির বাজারে মেধাবীদের ভালো সুযোগ অবশ্যই আছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকে তাদের পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ না পেয়ে এমন একটা বিষয়ে পড়তে হয় তা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত থাকেন, আর সে ক্ষেত্রে একমাত্র আশা বিসিএস ক্যাডার । তাদের মতে “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পড়াশুনার বিষয়ের সাথে মিলিয়ে চাকরি পাওযা খুব কঠিন। তাইতো চাকরিকে একটা সোনার হরিণের সাথে অনেকে তুলনা করেন । তবে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের দ্রুত চাকরির ব্যবস্থা করতে নানা আয়োজন বা পদক্ষেপ নেয়।যা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায় না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মানব সম্পদ বিভাগে কর্মরতদের মতে, দেশে চাকরি-প্রার্থীরা সনদ প্রাপ্ত কিন্তু অনেকেই যোগ্যতা সম্পন্ন নয় । যোগ্য প্রার্থী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার । বাস্তবতা থেকে চাকরি প্রার্থীরা অনেক দূরে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান থেকে সে কি পাবে বা প্রতিষ্ঠানকে সে কি দিবে তা চাকরি প্রার্থীদের সঠিক ধারণা নাই । ভাষা জ্ঞান নিয়েই অনেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাচ্ছে ।তবে কিছু ব্যতিক্রম থাকতেই পারে।

চাকরি পাওয়ার কিছুদিন পরই প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্রের মধ্যে পড়ে। বুদ্ধিদিয়ে না চললে হতাশা নিয়ে কাজ করতে হবে। হতাশ হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ কিছুদিন কাজ করার পরই ভুলে যায় তার নিয়োগ পত্রের কথা । যাদের নিয়োগ পত্র থাকে তাদের অনেকেই মনে রাখে না সেই নিয়োগ পত্রে তাদের কাজের পরিধি কিভাবে সংজ্ঞায়িত। আর সে কাজের সাথে কতটুকু সামঞ্জস্য পূর্ণ । সে তার অক্ষমতা বা দুর্বলতার কথা মূল্যায়ন না করে প্রতিষ্ঠান তাকে কেন অবমূল্যায়ন করছে তা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ে । সেও তখন প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্রের অন্তর্গত হয়ে যায়।

কর্মীর সংখ্যা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের আকার মাপার বিশ্বজনীন পদ্ধতি সবসময় কার্যকর হয় না । অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে কয়েকশত লোক কাজ করে কিন্তু পুঁজি অল্প, আবার শ’খানেকের কম লোক কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানের পুঁজি হাজার কোটি টাকার উপরে হতে পারে। তাই প্রতিষ্ঠানের আকার মাপতে হয় তার পুঁজির আকার অনুযায়ী তাছাড়া প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের তার নিজস্ব কিছু নিয়ম আছে।আমদের দেশে প্রায় সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবার কেন্দ্রিক বা একক মালিকানাধীন। চাকরির আবেদন করার আগে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জেনে নেয়া আবশ্যক। সকল প্রকার সম্ভাবনা ও ঝুঁকি সমূহও জানা আবশ্যক। এসব না জেনে চাকরিতে ঢুকে নিজেকে প্রতারিত ভাবাটা বোকামি।

চাকরি নেবার আগে একজন চাকরিজীবীর কাছে চাকরির যে বিষয় গুলো প্রথমেই বিবেচ্য তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পারিশ্রমিক। এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা, কর্ম-অভিজ্ঞতা ইত্যাদি পারিশ্রমিকের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য যথেষ্ট নয়। এখানে প্রথমেই বিবেচ্য কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান এটি । যেমন: বাংলাদেশে একজন শিক্ষক তাঁর সম পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্মাভিজ্ঞতাও কর্ম দক্ষতা সম্পন্ন অন্য চাকরিজীবীদের চেয়ে অনেক কম বেতন পান। শিক্ষাগত যোগ্যতা দক্ষতা কর্মাভিজ্ঞতা যা-ই হোক না কেন একটা নির্ধারিত অঙ্কের উপরে বেতন দেয়া হয়না, কেউ যদি বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন হয় তবে তা ভিন্ন কথা । সুতরাং চাকরি নেবার আগেই প্রতিষ্ঠানের বেতনের সিলিং জেনে নেয়া আবশ্যক। কিন্ত তা অনেকেই করেন না । পেশা ঠিক করার আগে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, সরকারি আইন, প্রতিযোগী কারা সে সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। যে প্রতিষ্ঠানে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা সে প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনাও চাকরিজীবীদের জানা প্রয়োজন। কারণ বিবিধ কারণে তারা যদি কোন অপ্রত্যাশিত কারণে কোন সমস্যা পড়ে তার জন্য মানসিক প্রস্তুতি থাকা দরকার । বাংলাদেশে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে টিকে থাকতে হয়। সুতরাং যেখানে নিজের জীবন বিনিয়োগ করতে হবে সেখানে তার ভবিষ্যত নিয়ে একটু ভালো ভাবে জেনে নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। সম্ভব হলে চাকরিতে আবেদন করার আগে আরও কয়েকটি বিষয় জেনে নেওয়া ভালো। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের মালিক/ব্যবস্থাপক/সহকর্মীদের সম্পর্কে । আগে জানা সম্ভব না হলে চাকরি পাবার পরে হলেও যা জানতে হবে, যেমন: পেশাদারিত্ব রাজনীতিবিদ, ধর্মীয়, হঠাৎ করে ধনী হয়ে যাওয়া, অপরাধ প্রবণতা সংশ্লিষ্ট, মাদকাসক্ত, জুয়াড়ি, অপার্থিব বিষয়াদীর চরম ভক্ত, অলস, কাজে অমনোযোগী, প্রতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্রকারি, কাজে অনিয়মিত, উচ্চবিলাসী, অতিরিক্ত ফূর্তিবাজ থাকলে সতর্ক হতে হবে। সহকর্মী/মালিকদের/ব্যবস্থাপকরা এই প্রকার পরিচয় প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব ও কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কোন কোন সময় ক্ষতিকর হতে পারে। যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সংস্কৃতিতে অপেশাদারিত্ব, অনৈতিকতা সেই প্রতিষ্ঠানে কাজ না করাই উত্তম। প্রতিষ্ঠান আর্থিক সচ্ছল কিনা। মাসের বেতন-ভাতা মাসে পরিশোধ করা হয় কিনা। প্রতিষ্ঠানটি মুনাফা করছে না ক্ষতির দিকে আছে, বাজারে এর নাম কেমন । এখান থেকে বুঝতে হবে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থাকা আর্থিক ভাবে নিরাপদ কিনা। একটি পুরনো প্রতিষ্ঠান যদি তার ইতিহাসে কখনোই লাভের মুখ না দেখে থাকে অথবা গত পাঁচ বছর ধরে তার বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে তাহলে তার থেকে দূরে থাকা ভাল। এমন কিছু চাকরি থাকে যেখানে উপরে ওঠার বিশেষ জায়গা নেই বা বিকাশের সুযোগ নেই। এই প্রকার চাকরি ক্যারিয়ারকে স্থায়ী ভাবে স্থবির করে দেয়। চাকরি একটি কঠোর বাস্তব বিষয়। এখানে আবেগের কোন স্থান নাই । এখানে আবেগাক্রান্ত হওয়া বা আবেগী ব্যাপারে জড়ানো বোকামী। যে কোন প্রতিষ্ঠানকেই পেশাদারী প্রতিষ্ঠান ভাবা উচিৎ । সকলের সাথে অবশ্যই পেশাদারী আচরণ কাম্য ।কারো সাথে ব্যক্তিগত ও আবেগী সম্পর্কে না জড়ানো উত্তম। বেসরকারি ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক কিছুই কাঠামোবদ্ধ থাকে না, অনেক বিধি থাকেনা, অনেক কিছু ঢিলে-ঢালা হয়, নিজস্ব সুগঠিত সংস্কৃতি থাকেনা। তাই কর্মজীবনের একে বারে শুরুতে ছোট প্রতিষ্ঠানে কাজ বুঝে শুনে পছন্দ করতে হয় ।
চরিত্রের দিক দিয়ে আমাদের সমাজ-রাষ্ট্র আধা ঔপনিবেশিক-সামন্ত তান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার। এখানে পুঁজির বিকাশ ঘটেনি, মুনাফা ভিত্তিক বাণিজ্যিক আচরণ প্রাধান্য, একারণে এখানকার উদ্যোক্তা/ব্যবস্থাপকদের মধ্যে পেশাদারী মনোভাবের অভাব। এখানকার উদ্যোক্তা/ব্যবস্থাপক অনেকেই স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার এবং সন্দেহপ্রবণ। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি কেন্দ্রিক । ব্যক্তির সুবিধা এবং মানসিকতাই সর্বত্র প্রতিফলিত। অথবা কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পরিচালকদের মধ্যে দলাদলি থাকতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। দলের বাইরে থাকলে সবপক্ষের বিরাগভাজন হবার এবং বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে ।
প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে প্রস্তুতি নেওয়ার মানসিকতা তৈরির জন্যই এই লেখা । প্রথমে নিজেই নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হবে, বেসরকারি চাকরি করতে ইচ্ছুক কিনা। তারপর জিজ্ঞেস করতে হবে বাকি জীবন কেবল বেসরকারি চাকরি করে কাটাবে কিনা। সাধারণত: বেসরকারি চাকরি জীবীরা যে পেশায় কাজ করুক না কেন অন্য পেশার প্রতি একটা আসক্তি থাকে ।
মনে রাখতে হবে পৃথিবীর সর্বত্র বেসরকারি চাকরি মানে অনিশ্চয়তা, সামান্য কারণে বা বিনা কারণে যেকোন সময়ে চাকরি চলে যাওয়ার আশংকা, অনেক কারণে প্রাপ্য আর্থিক বা অন্যান্য সুযোগ না পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়, বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ব্যাপার গুলো বেশ প্রকট। মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোন কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে বা কাজ বন্ধ রাখলে বা ছাঁটাই করলে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কি করবে । এ সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন । না জেনেই অনেকে আইনকে নিজের হাতে তুলে নেয় । তবে বাংলাদেশে বেসরকারি চাকরি করলে দুর্নীতি না করেও মোটামুটি সচ্ছল জীবন যাপন করা সম্ভব। প্রাচুর্য হয়তো থাকবে না, কিন্তু টিকে থাকা যাবে। বাড়ি-ফ্ল্যাট, হবে না কিন্তু আত্মমর্যাদার সাথে মাথা ওঁচু করে থাকা যাবে। বেসরকারি চাকরিতে খুব অল্প কয়েকজন বিপুল অঙ্কের বেতন পান, অসম্ভব সব সুবিধাপান তাদের গল্প সারা দেশকরে। সেই গল্প শুনে অতিরিক্ত উচ্চাভিলাসী বা অযথা হতাশ না হয়ে পেশাদারী মনোভাব নিয়ে কাজ করলে একসময় ভালো অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব। নিজে উদ্যোক্তা হবার অভিলাষ থাকলে বেসরকারি চাকরি করে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করার সুযোগ থাকে। একথা সত্য যে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেতন কাঠামোতে সরকারের কোন হাত নেই, তবে সরকার যদি প্রতিষ্ঠান ভেদে বাধ্যতামূলক ন্যূনতম বেতন কাঠামো ব্যবস্থা করতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেগুলি শৃঙ্খলায় আসতো, কিন্তু কে নিবে এই মহা উদ্যোগ, যারা নীতি-নির্ধারক তাঁরাই ব্যবসায়ী তারাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক। এনিয়েই চলতে হবে আমাদের , হয়তো কোন এক দিন কারো শুভবুদ্ধি উদয় হবে। বাংলাদেশের কর্মজীবীদের অধিকাংশই বেসরকারি চাকরিজীবী।‘অধিকাংশ’ মানুষই বেসরকারি চাকরি করে ।এই বিষয়টিকে ভয় না পেয়ে পেশাদারিত্ব এবং সাহসের সাথে সামলানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা, সাদার্ন ইউনিভার্সিটি ও টেকসই উন্নয়নকর্মী