অডিটর জেনারেল পদে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. নীনা আহমেদের জয়

0
468

অডিটর জেনারেল পদে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. নীনা আহমেদের জয়

গত ২রা জুন, ২০২০ যুক্তরাষ্ট্রের প্রাইমারী নির্বাচনে ডঃ নিনা আহমেদ পেনসিলভানিয়া রাজ্যের অডিটর জেনারেল পদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চিকিৎসা বিজ্ঞানী ড. নীনা আহমেদ। তিনি ১,২১,০০০ হাজার ভোটে প্রাইমারী নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। তাঁর প্রাপ্ত মোট ভোট ৫,২৭,০০০ হাজার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মোট পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে ড. নীনা আহমেদ এ পর্যন্ত ভোট পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ, আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইকেল ল্যাম্বকে অন্তত ৮০ হাজার ভোটে হারিয়েছেন । ল্যাম্ব পেয়েছেন ২৮ শতাংশ। বাকি প্রার্থীরা ১৫ শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছেন। নীনা আহমেদকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইকেল ল্যাম্ব অভিনন্দন জানিয়েছেন। ২৩৩ বছরের রাজ্যটিতে এই প্রথম শ্বেতাঙ্গ প্রার্থীর পরাজয়।

করোনা মহামারী এবং জর্জ ফ্লয়েড হত্যার  কারণে নির্বাচনের ফলাফল পেতে বিলম্বিত হয়েছিল।দীর্ঘ অপেক্ষার পর সবার উৎকন্ঠার অবসান ঘটিয়ে চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল পেয়ে আনন্দের বন্যায় মেতে ওঠে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে।

ভোটে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর নীনা আহমেদ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেন, এ বিজয় আমেরিকায় চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে জড়িতদের বিজয়। ‘আমি পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এবং একটি নতুন মুখ ও নতুন কণ্ঠ নির্বাচন করে ভোটাররা দুর্দান্ত সাড়া দিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ।’

দুই কন্যাসন্তানের জননী ড. নীনা  বাংলাদেশের ময়মনসিংহের মেয়ে ২১ বছর বয়েসে মার্কিন প্রবাসী হন। তখন মেডিকেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। মার্কিন বৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। ড. নীনা আহমেদ ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছয় মাস পড়ার পর পাড়ি জমিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৯০ সালে ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ায় পিএইচডি করেন রসায়নে । জেফারসন ইউনিভার্সিটি থেকে ফেলোশিপ করেন মলিকুলার জেনেটিক্স তথা চিকিৎসাবিজ্ঞানে। উইলস আই হসপিটাল ও থমাস জেফারসন মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞানী হিসেবেও কাজ করেছেন।

২০১৪ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা পরিষদে এশিয়া-অ্যামেরিকা বিষয়ক কমিশনের উপদেষ্টা হন তিনি। প্যাসিফিক আইল্যান্ডও এই কমিশনের আওতাভুক্ত ছিল।রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ২০১৫ সালে নীনা ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র নির্বাচত হন।

২০১৮ সালে তিনি ফিলাডেলফিয়া রাজ্যের লে. গভর্নর পদে প্রার্থী হন। নিয়ম অনুসারে আগের বছর ডেপুটি মেয়র পদে পদত্যাগ করেন। কিন্তু ভোটের আগে প্রতিপক্ষের কৌশলের শিকার হন। নির্বাচনী এলাকা আদালতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়। ফলে তিনি এলাকাবিহীন প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন।