জাতীয় সংসদে সদস্যরা স্বাস্থ্য খাত দুরাবস্থার ক্ষোভ প্রকাশ ।

0
432

জাতীয় সংসদে সদস্যরা স্বাস্থ্য খাত দুরাবস্থার ক্ষোভ প্রকাশ । তোপের মুখে পড়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে মঞ্জুরি প্রস্তাবের উপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের বক্তব্যে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা (এমপি)করোনা পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের অবস্থা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং বিএনপির সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।তারা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ‘অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম-দুর্নীতি এবং সমন্বয়হীনতার’ অভিযোগ তুলে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। পাশাপাশি সরকারি হাসপতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা ঠিক করতে মন্ত্রী-এমপিদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বাধ্যতামূলক করার দাবি করেছেন তারা।করোনায় দেশের স্বাস্থ্য খাতের ভঙ্গুর চিত্র তুলে ধরে পীর ফজলুর রহমান বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত দুরাবস্থার মধ্যে পড়ে আছে।

বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকেই সব করতে হয়। তাবে মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের কী দরকার।অধিদপ্তর মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।প্রধানমন্ত্রীকে যদি সব বলে দিতে হয় করোনায় কী করতে হবে তাও যদি প্রধানমন্ত্রীকে বলে দিতে হয় তাহলে মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর রেখে খরচ বাড়ানোর দরকার কী।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, করোনা যখন চীনে শুরু হয় তারপর ফেব্রুয়ারিতেই আমি সংসদে বলেছিলাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম স্বাস্থ্য সচিব একেক সময় একেক কথা বলছেন। তখন স্বাস্থ্য সচিব বললেন, গরমে করোনা হবে না। আবার এখন বললেন দুই-তিন বছর করোনা থাকবে। একটি নির্দেশনা দেন এমপি-মন্ত্রীকে বাধ্যতামূলক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন। বেসরকারি হাসপাতালে বা বিদেশে যাবে না, অতি জরুরি না হলে। এ নির্দেশনা দেন তাহলে সরকারি হাসপতালের চিকিৎসার অবস্থা ভালো হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মালেক অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদে তার বক্তব্যে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে করোনা পরিস্থিতিতে উঠে আসা দেশের স্বাস্থ্য খাতের দুরাবস্থা নিয়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।