যুক্তরাজ্যে করোনার চাপ নিতে পারছে না হাসপাতাল

0
313

যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড। ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ হাজার ৪৩৫ জন আক্রান্ত। হাসপাতাল পরিষেবা ভেঙে পড়ার মুখে।নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস এতটাই দ্রুত ছড়াচ্ছে যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা। সোমবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৩ হাজার মানুষ, মঙ্গলবার ডিসেম্বর ২৯ , ২০২০ তা আরো বেড়ে হয়েছে ৫৩ হাজার ৪৩৫ জন। ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সিনিয়ার মেডিকেল অ্যাডভাইসার সুসান হপকিন্স বলেছেন, ”যুক্তরাজ্য জুড়ে করোনা ভাইরাসের অস্বাভাবিক প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমাদের হাসপাতালগুলি আর চাপ নেয়ার মতো অবস্থায় নেই।”

সরকারের পরামর্শদাতা এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক অ্যান্ড্রু হেওয়ার্ড জানিয়েছেন, ”যুক্তরাজ্য বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।”প্রতিদিন যে হারে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তা কীভাবে সামাল দেয়া যাবে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না যুক্তরাজ্যের সরকারি কর্মকর্তারা। এই অবস্থা চলতে থাকলে হাসপাতালে নতুন করে আর রোগী ভর্তি করা যাবে না। তখন করোনা আক্রান্তদের কী করে চিকিৎসা হবে, তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় তাঁরা। করোনার মুখে পড়ে এই উন্নত দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে।

করোনার নতুন প্রকোপ অন্য দেশগুলিতেও প্রভাব ফেলছে। জার্মানিতেও করেনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ডেনমার্কে লকডাউন ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ফ্রান্সে লকডাউন নেই, রাতে কার্ফিউ আছে।

ফ্রান্সের কোনো কোনো অঞ্চলে কার্ফিউয়ের সময় বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। বিশেষ করে পূর্ব ফ্রান্সের কয়েকটি অঞ্চলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। ওই সব জায়গায় সন্ধে ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সম্পূর্ণ লকডাউনের প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছে ফ্রান্সের প্রশাসন। জার্মানিতে অবশ্য আংশিক লকডাউন চলছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাহিল অ্যামেরিকা। এখনো প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যু হয়েছে কয়েক লাখ মানুষের। তারই মধ্যে নতুন ধরনের ভাইরাস অ্যামেরিকায় পৌঁছে যাওয়ায় চিন্তিত মার্কিন প্রশাসন।

লাতিন অ্যামেরিকাতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। লাতিন অ্যামেরিকার সবকটি দেশ মিলিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ব্রাজিলের পরিস্থিতি সব চেয়ে ভয়াবহ।ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জানেরোর সমুদ্রতীরে বর্শশেষ ও নতুন বছরের প্রথম দিনে কোনো উৎসব হবে না। কোপাকাবানা বিচে বাজি পোড়ানো দেখতে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক ভিড় করেন। এ বার বিচ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

নতুন বছরের পার্টি বন্ধ করতে থাইল্যান্ডেও নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও থাই প্রশাসনও একে লকডাউন না বলে কারফিউ বলছে। ক্লাব, বার, রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এপি, এএফপি, রয়টার্স,dw