ইয়েমেনে বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ, ২২ জন নিহত

0
343

ইয়েমেনে বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ, ২২ জন নিহত

ইয়েমেনে সৌদি মদদপুষ্ট নবগঠিত মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের বহনকারী একটি উড়োজাহাজ অ্যাডেন বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই শক্তিশালী বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। উত্তর ইয়েমেনের শহর এডেনের বিমানবন্দর কেঁপে উঠল বিস্ফোরণে। এ ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, শপথ নেওয়া নতুন সরকারের মন্ত্রীদের বহনকারী উড়োজাহাজটি রিয়াদ থেকে ইয়েমেনের অ্যাডেন বিমানবন্দরে অবতরণে পরপরই শক্তিশালী বিস্ফোরণ এবং গুলির শব্দ শোনা যায়। তাঁরা বিমান থেকে নামার সময়েই বিস্ফোরণ হয়। তবে সরকারি বিমানে থাকা মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের কেউ হতাহত হননি। ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী মঈন আব্দুলমালিকসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিরাপদে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর অ্যাডেনের প্রেসিডেন্ট প্যালেসের আশপাশে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী মঈন আব্দুলমালিক ও নয়া সরকারের অন্যান্য সদস্য এবং ইয়েমেনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সাইদ আল-জাবেরকে দ্রুত নিরাপদ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।সৌদি মদদপুষ্ট ইয়েমেনের নতুন সরকারের প্রেসিডেন্ট মানসুর হাদি।

তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন এ হামলার জন্য হুথি বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে।  প্রেসিডেন্ট প্যালেস থেকে প্রধানমন্ত্রী মঈন আব্দুলমালিক টুইটে জানিয়েছেন, আমরা এবং সরকারের সদস্যরা অস্থায়ী রাজধানী অ্যাডেনে রয়েছি। সবাই ভালো আছি। হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের মূল রাজধানী সানাসহ দেশটির উত্তরের অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।

সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় ইয়েমেনের নতুন সরকার গঠিত হয় গত ১৮ ডিসেম্বর। এই সরকারে উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেন থেকে সমান সংখ্যক মন্ত্রী নেয়া হয়েছে। আমিরাতের সমর্থনপুষ্ট দক্ষিণ ইয়েমেনের ট্রান্সিশনাল কাউন্সিল এবং সৌদি আরবের সমর্থনে থাকা প্রেসিডেন্ট হাদির সমর্থকরা সমঝোতায় আসায় এই সরকার গঠন সম্ভব হয়েছে। এর ফলে এই দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের লড়াই বন্ধ হয়েছে। দুই পক্ষ একজোট হয়ে হাউথি বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করবে বলে ঠিক হয়েছে।

এই নতুন সরকার রিয়াদে গঠিত হয়। ঠিক হয়েছে, এই সরকার হাউথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাবে। হুতি বিদ্রোহীরা ২০১৪ সালে ইয়েমেনের রাজধানী শহর  দখল করে নিয়েছে। তখন থেকে প্রেসিডেন্ট হাদি রিয়াধেই ছিলেন।

 

এপি, রয়টার্স, dw