বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে হলে চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দিতে হবে।

0
433

বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে হলে চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দিতে হবে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে হলে চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দিতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর না থাকলে বাংলাদেশ এতো ভাগ্যবান হতো না। নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’অনেক দেশ আছে যাদের বন্দর থাকলেও আমাদের দেশের মতো তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।

শনিবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের রেডিসন ব্রু বে-ভিউতে চীন সরকারের অনুদান হিসেবে পাওয়া এলইডি বাল্ব বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন। সে স্বপ্ন এখন বাস্তবায়ন করছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যসহ সব সেক্টরে উন্নতি হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রেখে ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের নালা-নর্দমা, খাল-বিল পরিষ্কার রাখতে হবে, ওয়াকওয়ে পরিষ্কার থাকবে। তাহলে মানুষ প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে পারবে। বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নাই। মিরসরাই ইকোনমিক জোন হবে, ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান ।

উন্নয়নের ব্যাপারে ভ্রান্ত ধারণার কারণে অনেক সময় উন্নয়ন ব্যাহত হয় মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, এর দায় সবাইকে বহন করতে হবে। বিলিয়ন ডলার ইনকাম করার সুযোগ আছে চট্টগ্রাম থেকে, তার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা পারস্পরিক যোগাযোগে তা করতে পারবো। রামপাল পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অনেক ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে৷ এটা এখন বাস্তবায়ন হয়েছে, ভবিষ্যতে জ্বালানি সংকট থাকবে না।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সমুদ্রসীমা নিয়ে কাজ করেছে, এরপর কোনো সরকার কাজ করেনি। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে তদবির করে। শেখ হাসিনার সরকার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারণে আমাদের সমুদ্রসীমা জয় হয়েছে। আমাদের ভৌগোলিক সীমানা নিয়ে অনেক সমস্যা ছিল, ছিটমহল সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। ভারত থেকে আমরা ১০ গুণ বেশি জায়গা পেয়েছি ছিটমহলে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হবে, তার জন্য কাজ করতে হবে। সব মানুষ একসাথে ভালো কাজ করলে, ভালো চিন্তা করলে দেশ এগিয়ে যাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ৬৪ হাজার গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে স্থানীয় সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনিই পারেন চট্টগ্রামের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে।

সুজন বলেন, চট্টগ্রাম হবে সিঙ্গাপুরের চেয়ে উন্নত। চীনের কুমিং টাউন পর্যন্ত রেল ও সড়ক যোগাযোগ হয়ে গেলে এই নগর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বেশি আলোকিত ও সমৃদ্ধ নগর হবে। বঙ্গবন্ধু টানেল হয়ে গেলে মূল শহরের পাশে আরও গুচ্ছ শহর গড়ে উঠবে।

সভাপতির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এলইডি বাল্ব বিতরণ চট্টগ্রাম থেকে শুরু করা হলো। আমরা চট্টগ্রামকে সবার আগে আলোকিত করতে চাই। চট্টগ্রাম আলোকিত হলে সারাদেশ আলোকিত হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ১৩ লাখ সাড়ে ১২ হাজার এলইডি বাল্ব দিয়েছে চীন। বাংলাদেশ সরকারও চীন সরকারের মধ্যে প্রভিশন অফ গুডস ফর অ্যাড্রেসিং দ্যা ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়ক সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছিল। এর আওতায় অনুদান হিসেবে বাল্বগুলো প্রদান করেছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব শাকিলা ফারজানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মিজানুর রহমান।