চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী ইশতেহার

0
460

৩৭ প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেজাউল করিমের নির্বাচনী ইশতেহার

৩৭টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ২৩ জানুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।

ইশতেহারে রেজাউল করিম চৌধুরী নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট নিরসন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নালা-খাল-নদী থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ মোট ৩৭টি প্রতিশ্রুতি দেন।

নির্বাচনী ইশতেহারে ‘রূপসী চট্টগ্রাম আমার আপনার অহংকার, অঙ্গীকার-সবার যোগে সাজবে নগর’ শ্লোগানে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। ঘন সবুজের দেয়াল ঘেরা পাহাড়-নদী-হ্রদ ঝিলের সমন্বয়ে প্রকৃতি নিজের হাতে সাজিয়েছে চট্টগ্রামে বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর চট্টগ্রাম। দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার এই বন্দর। জাতীয় আমদানী-রফতানির ৮৫ শতাংশ চট্টগ্রাম দিয়ে পরিচালিত হয়। স্বাভাবিক কারণে চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অনেক দূর এগিয়েছে। ১২ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভূমিবেষ্টিত সেভেন সিস্টার, চিনের কুনমিং শহর, নেপাল ও ভূটানের আমদানী-রফতানির ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার হবে চট্টগ্রাম। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম পর্যটন তীর্থ হিসেবে গড়ে উঠবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা পরম সৌভাগ্যবান হয়েও প্রকৃতির চমৎকার উপহার চট্টগ্রামকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারছি না। এর জন্য শুধু দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ নয়, চট্টগ্রামের নাগরিক হিসেবে সকলেই সমান দায়ী। কারণ আমাদের মধ্যে নাগরিক দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমি নিজেও এই দায় এড়াতে পারি না। আপনাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের সকল ভু ল বিচ্যুতি পরিহার করে চট্টগ্রামকে সর্বাধুনিক বাসোপযোগী বিশ্বমানের উন্নত ও নান্দনিক নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে আমার ধারাবাহিক উন্নয়ন সূচীর মূল অঙ্গীকারগুলো হলো: জলাবদ্ধতা নিরসন, নগরীর দখলকৃত খাল, নালা-নদী পুনরুদ্ধার ও পানি নিষ্কাশন উপযোগী করতে ১০০ দিনের মধ্যে সব ত্রুটি ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তা নির্মূলে কঠোর আইন প্রয়োগ, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়ক শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন, চট্টগ্রামকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা, প্রতিনিয়ত মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম অব্যাহত রাখা এবং হোল্ডিং ট্যাক্সসহ সকল ধার্য্যকৃত কর সহনীয় পর্যায়ে রাখা।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে একটি সেবামূলক ও কল্যাণ-জনমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাব। আমার পূর্বসুরী সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী যে উচ্চতায় চট্টগ্রাম নগরীকে উন্নীত করেছিলেন তা পুনরুদ্ধার করে চলমান রাখবো এবং তাঁর আমলে প্রতিষ্ঠিত আয়বর্ধক প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে স্বনির্ভর ও আত্মনির্ভর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

ইশতেহার ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান।

৯টি ভাগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডা. শাহাদাতের নির্বাচনী ইশতেহার 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম গড়াসহ ৯টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।  ২৩ জানুয়ারি শনিবার দুপুর একটায় নগরের জামালখানে একটি রেস্টুরেন্টে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন মেয়র পদপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

তার প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে- জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম, স্বাস্থ্যকর চট্টগ্রাম, শিক্ষাবান্ধব চট্টগ্রাম, গৃহ কর ও আবাসন সুবিধা, পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম, নিরাপদ চট্টগ্রাম, সাম্য-সম্প্রীতির চট্টগ্রাম, নান্দনিক পর্যটন নগর এবং তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম গড়া সহ মোট ৯টি ভাগে বিভক্ত করে ৭৫টি প্রতিশ্রুতি দেন ।

ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর একটি পাহাড়, সাগর ও নদী পরিবেষ্টিত শহর। পাহাড় হতে বৃষ্টির পানি বিভিন্ন খাল হয়ে শহরের মধ্য দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে পতিত হয়। অবৈধভাবে পাহাড় কাটার কারণে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি মাটি পড়ে খাল ও নালা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে তা খালে গিয়ে পড়ে। যা নিরসনে বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা মুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে শহরের মধ্যে প্রবাহিত খাল উদ্ধার করে তা পানি চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং খালের উভয় পাশ রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে। প্রতি বছর বর্ষার আগে শহরের সমস্ত খাল, নালা-নর্দমা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কারসহ পানি চলাচলের উপযুক্ত করে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করবো।

ডা. শাহাদাত বলেন, নগরবাসীর নাগরিক অধিকার আমাদের সংবিধান নির্দিষ্ট করেছে-কিন্তু সে অধিকার দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। সংবিধানের মৌলিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র তার বিভিন্ন অঙ্গ ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ কাজ করে থাকে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যদি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনই পারে বিদ্যমান উন্নয়ন অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে নগরবাসীর দোরগোড়ায় উন্নয়ন পৌঁছে দিতে। নির্বাচিত হলে আমি আপনাদের সাথে নিয়ে এ প্রচেষ্টায় সফল হবো ইনশাআল্লাহ।

সাম্য সম্প্রীতির চট্টগ্রাম গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রামের হাজার বছরের ঐতিহ্যের আলোকে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় সহনশীলতা ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনে আবদ্ধ করার প্রয়াস থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে মাদকাসক্তির ঝুঁকি কমাতে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জা, কবরস্থান, শ্মশান ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।

নান্দনিক পর্যটন নগর গড়তে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নগরীকে অল্প সময়ে বিশ্বের অন্যতম নগরীতে পরিণত করার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পাহাড়, নদী, সমুদ্র, বিরল প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের আলোকে পর্যটন শিল্পের বিকাশ সাধন করে আধুনিক আকর্ষণীয় পর্যটন নগর গড়ে তোলা হবে। নগরবাসীর সুবিধা নিশ্চিত করে পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি পর্যটন আকর্ষণের নিমিত্তে দেশি-বিদেশি সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, নাগরিকদের যাতায়াত সুবিধার জন্য পরিকল্পিত স্মার্ট নগরীর সৌন্দর্য রক্ষা করে আয়বর্ধক প্রকল্প বৃদ্ধিসহ বাস স্টপ নির্মাণ করা হবে। বন্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহ চালু ও লাভজনক করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। বায়ু দূষণ রোধে ইলেকট্রিক বাস সার্ভিস চালু করা হবে। নগরীতে অবস্থিত দিঘি ও লেক সমূহকে পর্যটন স্পটে পরিণত করা হবে। এছাড়া নগরবাসীর জন্য নানা সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন বাস্তবভিত্তিক দৃষ্টিনন্দন উন্মুক্ত পার্ক নির্মাণ করা হবে।

স্বাস্থ্যকর চট্টগ্রাম গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, করপোরেশন এলাকায় অবহেলিত বিভাগগুলোর মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্য বিভাগ। নগরের জনসংখ্যা গত ৫০ বৎসরে প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি পেলেও নতুন কোনও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় শয্যা সংখ্যার অপ্রতুলতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতাল থাকলেও চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত নেই। চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত বন্দরনগরীর স্বাস্থ্য সেবার পরিধি বৃদ্ধিকল্পে অন্তত আরও ২ হাজার শয্যার পর্যাপ্ত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। সাথে সাথে শিশু হাসপাতাল, মাতৃসদন ও ট্রমা সেন্টারসহ বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে অনুমোদিত ১৩১৩ শয্যার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫০০-৩০০০ রোগী ভর্তি থাকে। অন্যদিকে প্রশাসনিক আদেশে ২৫০ শয্যার ঘোষণা দেওয়া হলেও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালটি এখনও ১৫০ শয্যার জনবল নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে।

শিক্ষাবান্ধব চট্টগ্রাম গড়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অটোমেশনের আওতায় এনে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়ন, স্কুলে প্রবেশ, প্রস্থান, ক্লাস কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও পরীক্ষার ফলাফল সবকিছু যাতে অভিভাবকরা ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে মনিটরিং করতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। করপোরেশন পরিচালিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সরকারি নির্দেশনার আলোকে পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত জীবনে নেতৃত্ব ও গুণাবলী অর্জনের নিমিত্তে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

গৃহকর ও আবাসন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, চসিক একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সেবা প্রদানে কর প্রয়োজনীয় সহায়ক শক্তি। জনগণের উন্নত সেবা নিশ্চিতকরণে বর্তমান গৃহকরের প্রয়োজনীয় বিন্যাস ও সরলীকরণ করাসহ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিম্ন আয়ের নগরবাসী, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের আবাসন গৃহ করমুক্ত করা হবে। হিজরা, ভবঘুরে ও ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হবে। শ্রমজীবীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কিস্তিতে আবাসন সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এমি, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।