১,১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৬৬,১৮৯টি আবাসন

0
491

ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আবাসন সুবিধার আওতায় আনার জন্য সরকারি কর্মসূচির অংশ হিসাবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে আরও এক লাখ বাড়ি বিতরণের কাজ করে যাচ্ছে সরকার। 

২২ জানুয়ারি শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, “মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আবাসন সুবিধার আওতায় আনার জন্য কাজ করছেন।” ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, গৃহ ও ভূমিহীন মানুষের মাঝে হস্তান্তরের জন্য সরকার  ১,১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বে প্রমবারের মতো ৬৬ হাজার ১৮৯ টি বাড়ি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন আশ্রয়ন প্রকল্প মুজিববর্ষ উদযাপনকালে ২১টি জেলায় ৩৬টি উপজেলায় ৪৪টি প্রকল্পের অধীনে ৭৪৩টি ব্যারাক নির্মাণ করে ৩,৭১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জানুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ উদ্বোধনী কর্মসূচিতে যোগ দেন এবং দেশের ৪৯২ উপজেলার সাথে সংযুক্ত হন। ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে বাড়ি বিতরণের কর্মসূচি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। বাড়িগুলোর প্রতিটি ইউনিটে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং বারান্দা রয়েছে, যা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

ড. কায়কাউস আরো বলেন, আশ্রয়ন-২ প্রকল্প ৪,৮৪০.২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে (জুলাই ২০১০ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত) ২ লাখ ৫০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ও ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সারাদেশে ১,৯২,২২৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ইতোমধ্যে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৪৮,৫০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৭ টি পরিবারের প্রত্যেকের ১ থেকে ১০ শতাংশ ভূমি রয়েছে। কিন্তু তাদের বাড়ি করার সক্ষমতা নেই।

আশ্রয়ন-২ এর প্রকল্প পরিচালক মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প ২০২০ সালে ৮,৮৫,৬২২টি পরিবারের তালিকা তৈরি করে। তাদের মধ্যে ২,৯৩,৩৬১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার এবং ৫,৯২,২৬১টি পরিবারের ১-১০ শতাংশ ভূমি রয়েছে। তবে তাদের বসবাসের বাড়ি নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্বাস্তু কক্সবাজারের খুরুশকুলে ৬ শ’ পরিবারের জন্য ২০টি পাঁচ তলা ভবন নির্মাণ করেছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ডিটেইল্ড প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) এর মাধ্যমে আরো ১১৯টি বহুতল ভবন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে।

 পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর সদস্যদেরকে আয় সংস্থানমূলক কাজে সম্পৃক্ত হতে সক্ষম করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষতা অর্জন এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) অজর্নের জন্য দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে প্রকল্প কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করা হবে। আশ্রয়ন-২ এর প্রকল্প পরিচালক জানান, আশ্রায়ন প্রকল্প ১৯৯৭ সালে থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩,২০,০৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করেছে।