বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার ডলার সম্পত্তির মালিক হতে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক

0
211
বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার ডলার সম্পত্তির মালিক হতে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক
প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার পথে চলছেন বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক। । চলতি বছরের শুরুতেই শীর্ষ ধনকুবের বিল গেটস, জেফ বেজোসকে পেছনে ফেলে শীর্ষ ধনী হয়েছেন। রকেট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তিনি। গড়েছেন টেসলা, পেপ্যালসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
তাঁর বিস্ময়কর পরিকল্পনায় একের পর এক সাফল্য ধরা দিয়েছে এ প্রযুক্তি ব্যবসায়ীর হাতে। প্রযুক্তিবিদরা অনেকেই হেসেছেন অনেকোই ছিলেন সন্দিহান।এসব বিদ্রুপ পাত্তা না দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সেরা ধনী। এক হাজার বিলিয়ন ডলারের মালিক!
১৯১৬ সালে বিশ্বের প্রথম বিলিয়নিয়ারের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন জন ডি রকফেলার। এরপর পেরিয়ে গেছে শত বছর। বিলিয়নিয়ারের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। করোনা সংকটের মধ্যেও হু হু করে বেড়েছে শীর্ষ ধনীদের সম্পদ। যদিও সেটি বিলিয়ন ডলারের ঘরেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এবার বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার বা লাখো কোটি ডলার সম্পদের মালিক হতে যাচ্ছেন প্রযুক্তিবিদ ইলন মাস্ক।
মাস্কের মালিকানাধীন প্রথমবারের মতো মহাকাশকেন্দ্রিক পর্যটন ও বেসরকারিভাবে মহাকাশ ভ্রমণের সেবা দিয়ে রেকর্ড গড়েছে স্পেসএক্স।স্পেসএক্স বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল কোম্পানি। কোম্পানিটি স্টারশিপে বারবার ব্যবহার করা যায়- এমন রকেটগুলো দিয়ে ভবিষ্যতে মানুষকে চাঁদ এবং মঙ্গলে নিয়ে যাবে। ভবিষ্যতে এ কোম্পানির বাজারমূল্য হবে ২০ হাজার কোটি ডলার এবং চলতি মাসেই এ কোম্পানির বাজারমূল্য দাঁড়ায় ১০ হাজার কোটি ডলার। ইন্টারনেট ফার্ম বাইটড্যান্সের পর স্পেসএক্সই বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চমূল্যের কোম্পানি।
তথ্য মতে ‘মাস্কের বর্তমান সম্পদের বেশির ভাগই এসেছে টেসলা থেকে। তবে এবার তিনি মহাকাশ অনুসন্ধান ব্যবসা থেকে অনেক বেশি আয় করতে যাচ্ছেন। স্পেসএক্স বিশ্বের যে কোনো শিল্পের মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান সংস্থা হবে, যা সময়ের ব্যাপার।’
স্পেসএক্স মহাকাশে অবকাঠামো নির্মাণ, পৃথিবী প্রদক্ষিণ, মহাবিশ্বের অচেনা অঞ্চলে ভ্রমণসহ অসংখ্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। এর কল্যাণে তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন খাত। স্যাটেলাইটভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবসা স্টারলিংক বর্তমানে স্পেসএক্সের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। টেসলা আগের চেয়েও বেশি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে যাওয়ায় চলতি বছর মাস্কের ঝুলিতে যোগ হয় ৬ হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পত্তি। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে সাম্প্রতিক চুক্তির মাধ্যমে আরও ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার যুক্ত হয়েছে স্পেসএক্সের ঝুলিতে। বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়েও অগ্রযাত্রায় থেমে যাননি ইলন মাস্ক।  চলতি সপ্তাহেই নতুন রেকর্ড গড়েন বিশ্বের শীর্ষ এ ধনকুবের। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য দুই ব্যক্তি বিল গেটস ও ওয়ারেন বাফেটের সম্পত্তির সমপরিমাণ ঝুলিতে পুরেছেন মাস্ক একাই।
ইলন মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত আমেরিকান উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি ব্যবসায়ী; যিনি ১৯৯৯ সালে এক্স ডট কম (যা পরবর্তীতে পেপ্যাল নামে পরিচিতি পায়), ২০০২ সালে স্পেসএক্স এবং ২০০৩ সালে টেসলা মোটরস প্রতিষ্ঠা করেন। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ইলন মাস্ক তাঁর জীবনের প্রথম প্রতিষ্ঠান জিপ টু (এমন একটি সফটওয়্যার যা খবরের কাগজের জন্য ইন্টারনেট গাইড হিসেবে ব্যবহার করা হতো) বিক্রি করে ধনকুবের বনে যান। ২০১২ সালের মে মাসে তিনি খবরের কাগজের শিরোনামে ওঠে আসেন যখন তাঁর কোম্পানি স্পেসএক্স প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অর্থের বিনিময়ে ভ্রমণে ইচ্ছুক যাত্রী প্রেরণ করে। ২০১৬ সালে সোলার সিটি কেনার মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর অর্জনের পাল্লা আরও ভারী করেন। ট্রাম্প প্রশাসনের শুরুর দিনগুলোতে উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করে শিল্প ও বাণিজ্যের জগতে একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে নিজের অবস্থান পাকা করেন।