ব্যক্তি মালিকানাধীন আড়াই হাজার বিলাসবহুল গাড়ি মালিকের তালিকা এখন দুর্নীতি দমন কমিশনে।
বিআরটিএ-র কাছ থেকে এরই মধ্যে এসব গাড়ি মালিকের নাম- ঠিকানা, টিন নম্বর, গাড়ির দামসহ বিস্তারিত তথ্য নিয়েছে সংস্থাটি। দদক বলছে, বিলাসবহুল গাড়ি আমদানিতে দুর্নীতি হয়েছে কি-না এবং গাড়ি মালিকদের আয়-ব্যয়ের সঙ্গতি আছে কি-না তা খতিয়ে দেখতেই এসব তথ্য নেয়া হয়েছে।
মূল্য কম ঘোষণা দিয়ে খালাস হচ্ছে বিলাসবহুল গাড়ি। আমদানি করা গাড়ির প্রকৃত মূল্য পরিশোধ করা হয় হুন্ডির মাধ্যমে। এমন অভিযোগ রয়েছে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের কাছে। শুধু তাই নয়, বিলাসবহুল কোনো কোনো গাড়ি মালিকের বিরুদ্ধেও রয়েছে শুল্ক ফাঁকিসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।
এসব অভিযোগ যাচাই করতে উচ্চ পর্যায়ের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত বছরের অক্টোবরে বিআরটিএ’র কাছে ব্র্যান্ডের নামসহ আড়াই হাজার বা তার বেশি সিসির ব্যাক্তি মালিকানাধীন সব গাড়ির তথ্য চায় সংস্থাটি। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে, গাড়ির নিবন্ধন নং, গাড়ির দাম, গাড়ি মালিকের নাম ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য।
দুদকের চাহিদা অনুযায়ী গেলো পাঁচ বছরে নিবন্ধন হওয়া দুই হাজার ৪৪০টি বিলাসবহুল গাড়ির তথ্য দিয়েছে বিআরটিএ। এসব গাড়ির ৭০ ভাগ মালিক শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী, বাকি ৩০ ভাগের মালিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তি।
বিআরটিএ’র পরিচালক (অপারেশন) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, ‘দুদক ২৫০০ সিসি বা তদূর্ধ্ব সিসির গাড়িগুলোর তথ্য চেয়েছিলেন এই গুলোর মালিক কারা, ইয়ার অব ম্যানুফ্যাকচার, কোন ব্র্যান্ডের। আমরা ইতিমধ্যেই সেগুলো পাঠিয়ে দিয়েছি।’
সম্প্রতি বিআরটিএ থেকে এসব তথ্য আসার পর বিলাসবহুল গাড়ি মালিকদের তথ্য এখন যাচাই করছে দুদক।
দুদকের সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘এই গাড়িগুলো আসলে কারা কিনছে, কারা ব্যবহার করছে, কিভাবে আসছে? এটা কি হুন্ডির মাধ্যমে কিনেছে, নাকি আন্ডার ইনভয়েসিং করেছে, নাকি লিগ্যাল ওয়ে তেই কিনেছে। কেউ যদি অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে এগুলোর মালিক হয়, টাকাটা কোথা থেকে পেলো সেটা আমাদের স্পষ্ট করে জানাতে হবে।’
এসব গাড়ি মালিকদের কারো আয় ব্যায়ের উৎসে অসঙ্গতি মনে হলে সম্পদের অনুসন্ধানও করবে সংস্থাটি।