ঝড়-বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড চীনের হেনান প্রদেশ।
বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড চীনের হেনান প্রদেশ। খাওয়ার পানি পর্যন্ত মিলছে না। এখনো পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে এখনো নিখোঁজ।গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভারি বর্ষণে ডুবে গেছে চীনের হেনান প্রদেশের মধ্য অঞ্চল৷ পানিবন্দি বহু মানুষ, বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা৷
ইউরোপের পর এ বার চীন। আচমকা বন্যায় ভেসে গেল ঘরবাড়ি। প্রচুর মানুষ প্রাণ হারালেন। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। রাস্তায় নেমেছে চীনের সেনাবাহিনী।বহু যুগের মধ্যে একদিনে এত বৃষ্টি দেখেনি মধ্য চীনের হেনান প্রদেশ। আবহাওয়া দফতরের মতে মঙ্গলবার যে বেগে বৃষ্টি হয়েছে, তা অস্বাভাবিক। এক ঘণ্টায় ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে প্রদেশের কোনো কোনো শহরে। যার জেরে জলমগ্ন হয়ে যায় প্রায় পুরো প্রদেশটিই। তার উপর দুইটি বাঁধ ভাঙার খবর মিলেছে। তার মধ্যে একটি ইয়েলো নদীর উপর। হোয়াংহো নদীর উপরের বাঁধও ভেঙেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বন্যার জল আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমন বৃষ্টি দেখেনি কখনো হেনান প্রদেশের মানুষ। ভয়াবহ বৃষ্টি সঙ্গে ঝড়। হলুদ নদীর পানি ঢুকেছে শহরের ভিতর। শহরের রাস্তাঘাট তো বটেই, সাবওয়েতেও প্রচুর পানি ঢুকে গেছে। বন্ধ সমস্ত পরিবহন। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে জাংজাউ শহরের। গোটা শহর কার্যত পানির তলায়।ঝড় এবং বন্যায় ভেসে গেছে গাড়ি। রাস্তার ধারের দোকান। বৃষ্টি কমেছে। কিন্তু পানি নামেনি। তারই মধ্যে মানুষ হারিয়ে যাওয়া গাড়ির সন্ধানে বেড়িয়েছেন।সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছে সাধারণ মানুষ। তাদের প্রশ্ন, কেন আগে থেকে সতর্ক হয়নি প্রশাসন।
বৃষ্টির লাল সংকেত আগেই ঘোষণা করেছিল আবহাওয়া দফতর। ফের বৃষ্টির সংকেত জারি হয়েছে। ঝড় এবং বন্যার তাণ্ডবের পর উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা। সাধারণ মানুষও হাত লাগিয়েছেন। খাওয়ার পানি , খাবার কিচ্ছু পাওয়া যাচ্ছে না। পানির গাড়ি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পানি দিচ্ছে। ইনস্ট্যান্ট নুডল খেয়ে বেঁচে আছে মানুষ।
