জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গণগ্রেপ্তার বন্ধ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলার জড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াত।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় যৌথ অভিযানের নামে পুলিশ র্যাব-বিজিবির সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ, যুগলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও অত্যাচার চালাচ্ছে।
উল্টো জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে দাবি তিনি বলেন, ‘বিগত এক বছরে জামায়াত-শিবিরের নয়জন হত্যা, ছয়জন পঙ্গু, মারাত্মক আহত ৫০ জন এবং মিথ্যা মামলায় ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে জড়ানো হয়।’
ইসহাক দাবি করেন, ‘বর্তমানে সাড়ে তিনশ’ নেতাকর্মী জেলে এবং হাজার হাজার নেতাকর্মী বাড়িঘর ছাড়া হয়েছেন।’
এ সময় গত ৩১ জানুয়ারি চুনতির সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিলে মুসল্লি কর্তৃক আওয়ামী লীগের এমপি ড. আবু রেজা নদভীর ওপর জুতা নিক্ষেপের অপ্রীতিকর ঘটনায় জামায়াতকে জড়ানো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তিনি।
দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, এ ঘটনার সাথে জামায়াত-শিবিরের কোনো নেতা-কর্মীর দূরতম সম্পর্ক নেই। সাধারণ মুসল্লিদের ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দেয়া দুঃখজনক।
তিনি অভিযোগ করেন, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া যুগ যুগ ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। সম্প্রতি সাতকানিয়ায় ঢেমশায় কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে গভীর রাতে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জামায়াত-শিবিরকে জড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
এ জামায়াত নেতা বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করা হয়নি। আমরা অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ড. হেলাল উদ্দিন মুহাম্মদ নোমান, নগর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ প্রমুখ।