মঞ্জুর হত্যা মামলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন

0
990

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলায় রায়ের তারিখ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলায় অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার সকালে প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজ এ আদেশ দেন। তিনি সম্প্রতি এই আদালতে বদলি হয়ে এসেছেন।

এই আদেশের ফলে ৩৩ বছর আগের আলোচিত এ মামলাটির কার্যক্রমে আবারো দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হলো, যাতে রাজনৈতিক ঘুঁটি হিসবে ব্যবহৃত হয়ে আসছেন পতিত স্বৈরশাসক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদ।

আজ ১০ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিচারক পরিবর্তন করা হয়। সে সময়ে ধারণা করা হয়েছিল বিচারক নতুন করে যুক্তিতর্ক শুনতে পারেন।

রায়ের তারিখ ঠিক করার এক সপ্তাহ পর গত ২৯ জানুয়ারি প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হোসনে আরার বদলির আদেশ আসে। তার জায়গায় নতুন বিচারক হিসাবে যোগ দেন খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজ।

এ নিয়ে এই মামলায় গত ১৯ বছরে ২৩ জন বিচারককে বদলি করা হলো। আজ রায় ঘোষণা অনিশ্চিত জেনেও আদালতে উপস্থিত হন মামলার প্রধান আসামি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদ।

বেলা সোয়া ১১টায় আদালতে উপস্থিত হন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার ও তার ভাই জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের।

মঞ্জুর হত্যা মামলায় এরশাদসহ পাঁচ আসামিই উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন। তারা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত মেজর কাজী এমদাদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইয়া, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুল লতিফ ও অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল শামসুর রহমান শামস।

উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামে একদল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান। ওই ঘটনার পর পুলিশের হাতে আটক হন আত্মগোপনে থাকা মেজর জেনারেল মঞ্জুর। পুলিশ হেফাজত থেকে ১ জুন চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নেয়ার পর তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এর ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মঞ্জুরের ভাই। ওই বছরই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তখনকার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ অভিযোগপত্র দেন এবং বিচার শুরু করে আদালত।

তবে সরকার বদল এবং দফায় দফায় রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনে মামলাটির বিচারকার্য দীর্ঘসূত্রিতায় নিপতিত হয়।