যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক তথ্য ও মতামত সরবরাহকারী ওপেন সোর্স সংস্থা আইএইচএস ‘আইএইচএস জেনস ২০১৩ গ্লোবাল টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসারজেন্সি অ্যাটাক ইনডেক্স’ শীর্ষক একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
এতে বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবির বিশ্বের ১০টি সক্রিয় বেসরকারি সশস্ত্র সংগঠনের তালিকার যুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি আইএইচএস’র ওয়েবসাইটে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে বেসরকারি সশস্ত্র দলের আক্রমণ শুধু গত পাঁচ বছরেই অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
উন্মুক্ত উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় যে, ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী আক্রমণের সংখ্যা ছিল ৭,২১৭। আর ২০১৩ সালে এটা দাঁড়ায় ১৮,৫২৪। যেটা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫০ শতাংশেরও বেশি, বলছিলেন গবেষণা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান আইএইচএস জেনস টেরোরিজম এন্ড ইনসারজেন্সি সেন্টারের (JTIC) ম্যানেজার ম্যাথিউ হ্যানমেন।
‘আইএইচএস জেন’স ২০১৩ গ্লোবাল টেরোরিজম এন্ড ইনসারজেন্সি এটাক ইনডেক্স’ এর উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হচ্ছে;
১। বিশ্বজুড়ে জঙ্গি এবং অজঙ্গি হামলা বেড়েছে ২। আরব বসন্তের দেশগুলোতে এ হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ৩। সিরিয়াতে হামলার ঘটনা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ২০১২ এবং ২০১৩ এর মধ্যে ৪। ইরাকে আত্মঘাতী হামলা চারগুণ বেড়েছে। আর আল কায়েদা ইরাক প্রথম পাঁচ সশস্ত্র সংগঠনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ৫। সাব সাহারান আফ্রিকাতে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার হ্যানমেন বলেন, ‘২০১৩ সালে সংঘাত-সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু ছিল মধ্যপ্রাচ্য। প্রতিবেশী আফ্রিকা এবং এশিয়াতেও এর প্রভাব ছিল।’
২০১৩ সালের সবচেয়ে সক্রিয় সশস্ত্র সংগঠনের তালিকায় প্রথম ১০টি সংগঠন হচ্ছে;
১. বারিসান রেবুলুসি ন্যাসিওনাল (থাইল্যান্ড)
২. তালেবান
৩. ইসলামী ছাত্রশিবির (বাংলাদেশ)
৪. কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মাওবাদী)
৫. ইরাকের আল কায়েদা
৬. আল শাবাব
৭. ফার্স (কলম্বিয়া)
৮. নিউ পিপলস আর্মি (ফিলিপাইন)
৯. জাবাত আল নুসরা (সিরিয়া)
১০. কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী)