উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার বরিশাল সদর, ভোলার বোরহানুদ্দিন ও লালমনিরহাটের পাটগ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এসব স্থানে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেয়ার পাশাপাশি জাল ভোট দেয়ার ঘটনাও ঘটছে । বরিশাল সদরের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়ার এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোটের অভিযোগ পাওয়া গেছে । কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে হাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে সিল মারার অভিযোগ উঠেছে।
মাগুরার শালিখায় গোবরা কেন্দ্রে পুলিশের কাছ থেকে এসএমজি চুরি হয়ে গেছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে । লালমনিরহাটের পাটগ্রামের ছয়টি কেন্দ্র থেকে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মেহেরপুরের গাংনীর ভোলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অন্তত ১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে । এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ভোলার বোরহানুদ্দিন উপজেলায় ভোট শুরুর পরপরই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে । সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর সোয়া আটটার মধ্যেই দেউলা ইউনিয়নের মনোয়ারা মহিলা মাদ্রাসা কেন্দ্রের এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
এছাড়া সাচড়া ইউনিয়নের সকল কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থক এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদেরকে মারধর করেছে বলেও তারা জানিয়েছেন।