আলু বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফসল।বাংলাদেশে উৎপাদনের দিক থেকে ধান,গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে আছে আলু।
বাংলাদেশে আলু একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। সর্বত্রই এর চাষ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়া ফলে নতুন করে দেশের বেশ কিছু জেলাতে এর চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহৃত আলুর জাতের পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে হলে সে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আলু উৎপাদন করতে হবে। আমাদের চাহিদার চেয়ে বেশী উৎপাদিত আলু নিয়ে কাজ করতে হবে। এর প্রক্রিয়াজাত করে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে,পাশা পাশি আলুর বহুবিধ ব্যবহার করতে হবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এম.পি মহোদয়ের সাথে মন্ত্রণালয় তার কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের (আপিসি) এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ড. ইউ.এস সিং এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধ দলের বৈঠককালে এসব কথা বলেন।
এসময় আলুর লেইট ব্লাইট রোগে নিয়েও কথা হয়। ড.ইউ.এস সিং বলেন; ভারতেও আলুর অন্যতম সমস্যা লেইট ব্লাইট রোগে। এর পরেও ভারত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম চিপস রপ্তানিকারক দেশ।আই.পি.সি চাচ্ছে বাংলাদেশে একটি কেন্দ্র স্থাপন করতে।যেহেতু পুর্ব এশিয়ায় তেমন আলু চাষ হচ্ছে না ।এ প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বাংলাদেশে কেন্দ্র করার জন্য জমি দিবে,কারীগরি সকল সহায়তা দিবে আইপিসি।আলুর জাত উন্নয়ন ও প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির জন্য আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের সহায়তা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন,কৃষি খাতের জন্য টাকার কোনো সমস্যা নেই।আমরা আপনাদের (আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র) সহযোগিতা চাই, কীভাবে আলুর জাত উন্নয়ন ও তা প্রক্রিয়াজাত করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করা যায় সে ব্যাপারে। অনুকূল আবহাওয়া ও মাটির কারণে কিছু জেলায় আলুর প্রায় ৩০টি জাতের চাষ ব্যাপকভাবে হয়।
বিগত বছর আলুর উৎপাদন আমাদের চাহিদার চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ টন বেশি হয়েছে।এছারাও পুষ্টিমান সম্পন্ন মিষ্টি আলুর চাষ হচ্ছে আমাদের দেশে।এ খাতে বাংলাদেশকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আক্রান্ত এলাকার কৃষকদের বিনামুল্যে সার ও বিজ দেয়া হবে এর জন্য ১২০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
এছাড়া আবার বন্যা হলে কি করনিয় তারও প্রস্তুতি নেয়া আছে। বর্তমান চলমান বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার মতো; বললেন কৃষি মন্ত্রী
প্রতিনধি দলে আরো ছিলেন;ড.এম.এ বারী,প্রাক্তন পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও লুৎফুল হাসান,ভিসি বা.কৃ.বি।
বিএম/এমআর