সম্প্রতি রান না পাওয়া নিয়ে ঘণ্টা তিনেক আগেও যে তামিমকে নিয়ে সমালোচনার অন্ত ছিল না, সেই তামিমই একের পর এক চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে সামলোচকদের জবাব দিচ্ছেন। যদিও উনিশ মাস ও ২৩ ম্যাচ পর সেঞ্চুরির মুখ দেখলেন বাঁহাতি ড্যাশিং এ ওপেনার।
ফিফটির পর দোর্দণ্ড প্রতাপে অনবদ্য সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ইকবাল। এটি তার ক্যারিয়ারের ১২তম তিন অংক ছোঁয়া ইনিংস।
এ ম্যাচে খেলতে নামার আগে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছিলেন তামিম। ধীর হয়ে গেছেন, দলকে মন্থর শুরু এনে দিয়ে বিপদে ফেলছেন-এরকম কতশত বাক্যবাণে জর্জরিত হচ্ছিলেন তিনি। তাকে রীতিমতো ধুয়ে দিচ্ছিলেন সমালোচকরা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৩ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ২৬৫ রান। তামিম ১৪৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। ৩ রান নিয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
মঙ্গলবার সিলেটে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনার পরও দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন গত ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া লিটন দাস ও নাজমুল হাসান শান্ত।
সফরকারী দলের পেসার কার্ল মুম্বার বল সোজা খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। বল অফ অঞ্চলের দিকে যাওয়ার কথা থাকলেও বোলারের হাতে লেগে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে স্ট্যাম্প ভাঙে। আর এতেই কপাল প্যাভিলিয়নের পথে হাটতে হয় লিটনকে।
অপরদিকে, ভুল বোঝাবুঝিতে ফিরতে হয়েছে নাজমুল হাসান শান্তকে। মাদভেরের বলে টুকে দিয়ে শান্ত রান নিতে চেয়ে ক্রিজে বাহিরে আসলে তামিম অপরপ্রান্তে দূত পৌঁছালেও আটকে শান্ত। ফলে টেইলরের থ্রোতে মাত্র ৬ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় তাকে।
তবে স্বচ্ছন্দে খেলে যান তামিম। স্বাভাবিকভাবেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৮তম ফিফটি তুলে নেন তিনি। এ নিয়ে ৮ মাস এবং ৭ ম্যাচ পর হাফসেঞ্চুরি পান তিনি। বাঁহাতি ওপেনার সবশেষ ফিফটি করেন ২০১৯ সালের ২০ জুন, নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচে।
লম্বা সময় পর সূচনা থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করছেন তামিম ইকবাল। স্বচ্ছন্দে ছন্দময় ব্যাট চালাচ্ছেন তিনি। ছোটাচ্ছেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। খেলছেন সব নান্দনিক শট। অনুমিতভাবেই ইতিহাস গড়লেন তামিম। ছুঁলেন বহুল প্রত্যাশিত ও কাঙ্ক্ষিত মাইলফলক।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৭০০০ রানের অভিজাত ক্লাবে পৌঁছলেন তিনি। ২০৬ ম্যাচে এ কীর্তি গড়লেন ড্যাশিং ওপেনার। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ৩, ৫ ও ৬ হাজার রানের মাইলস্টোনও স্পর্শ করেন তিনি।
সমান ম্যাচ খেলে ৬৩২৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পরের স্থানে রয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। তার রান ৬১৭৪।