প্রফেসর ড.মুহাম্মাদ ইউনুস

0
5

প্রফেসর ড.মুহাম্মাদ ইউনুস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রায় আঠার বৎসর পর চট্টগ্রামে আসেন । তাঁকে বরণ করে নেন গ্রামের বাড়ি বাথুয়াসহ চট্টগ্রামের সর্বত্র ।

বাংলার ইতিহাসে গত শত বছরে জন্ম নেয়া একমাত্র গ্লোবাল সেলিব্রেটি হলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস। কে এই অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনুস!  পৃথিবীতে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল, ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার সম্মানসূচক হিসেবে প্রথম বাংলাদেশি নোবেল পান ড.ইউনুস। নোবেলের পরের পুরস্কারের অবস্থান হচ্ছে; ২.অ্যামেরিকার প্রসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড এবং ৩.মার্কিন কংগ্রেশনাল এওয়ার্ড ।

পৃথিবীর ইতিহাসে উপরের ৩ টা পুরস্কারই জিতেছেন এমন মানুষ আছে বা ছিলেন মাত্র ১২ জন! সেই ১২ জনের একজন প্রফেসর ড.মোহাম্মদ ইউনুস।১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ড. ইউনূস জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহ প্রায় ১৪৫টি পুরস্কার অর্জন করেছেন।এছাড়াও সারা পৃথিবীর ৬৯ টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করেছে।তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ আটটি ।

বর্তমানে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবী বা জ্ঞানালোকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের যেকোনো তালিকায় প্রথম ১০ এর ভিতরে থাকেন ড.ইউনুস। মুসলিম বিশ্বে নোবেল বিজয়ী ইউনুসের বিকল্প খুজে পাওয়া টা খুব কঠিন, কিন্তু তিনি আমাদের বাংলাদেশের! এদেশে আর এমন ইউনুস জন্মাবে কিনা আজও সন্দেহ!

লিওনেল মেসি লাইনে দাড়িয়ে ছিলেন প্রফেসর ড.ইউনুসের জন্য!মাইক্রোসফটের বিল গেটস নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে প্রফেসর ইউনুসকে পুরো সিলিকন ভ্যালি শহর দেখিয়ে ছিলেন।’অলিম্পিক গেমস’ পৃথিবীর সম্মানজনক প্রতিযোগিতার একটি। আর অলিম্পিকে সবচেয়ে সম্মানিত মেহমান হলেন মশাল বাহক, জাপানে অনুষ্ঠিত ২০২০ অলিম্পিকে মশাল বাহক ছিলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস ।

কোর্ট-কাছাড়ির ৮ তলার এজলাশে তাঁকে যখনই হাজিরা দিতে হত সে সময় কোর্ট বিল্ডিং এর লিফট বন্ধ করে দেয়া হত। ৮৪ বছরের অশিতিপর এই আসামীকে প্রতিবারই হেঁটে হেঁটে ৮ তলায় যেতে হত। এই ঘটনা নাকি ৪০ বারের মত ঘটেছে।

সারা পৃথিবীর ১০৭টা ইউনিভার্সিটিতে ড.মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এটা করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁর মাইক্রো-ফাইনান্স। জ্ঞান নির্ভর বিশ্ব বুঝলেও আমরা বুঝি নাই। তাঁর এই মাইক্রো-ফাইনান্স কেবল একটি তত্ব নয়,তিনি তা বাস্তবেও দেখিয়েছেন গ্রামীন ব‍্যংকের মাধ‍্যমে। যার কারনে তিনি বিশ্ব সম্পদে পরিনত হয়েছেন, এবং তাঁর গ্রামীন ব্যাংকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার এনে দিয়েছিল।

ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্রীভাবে ‘সুদখোর’ ঢাকা হয় বারবার। এটা আমাদের হীনম্মন্যতার পরিচয়;মজার ব্যাপার হচ্ছে- মুহাম্মদ ইউনূসকে যারা পছন্দ করেন তাদের বেশীরভাগও জানেন না, মুহাম্মদ ইউনূসের সুদের ব্যবসা নাই। গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামীন ব্যাংকে তাঁর এক টাকার মালিকানাও নাই, শেয়ারও নাই। কখনোই ছিল না।আশ্চর্যজনক মনে হলেও । কিন্তু এটাই সত্যি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাইক্রো-ফাইনান্সের ধারণার মূল বাহক বা জনক। এই ব্যবসার কেউ মালিক হতে পারবে না। সম্পূর্ণ নন-প্রফিট তথা অলাভজনক। এটাকে বলে সামাজিক ব্যবসা। নির্দিষ্ট কোনো মালিক নাই। জনগণই এর মালিক।

বাইর থেকে অনুদানের টাকা এনে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। নিজে এটি প্রতিষ্ঠা করলেও প্রতিষ্ঠানে তার এক পয়সার মালিকানাও রাখেননি। বরং এর ২৫% মালিকানা সরকারের, বাকি মালিকানা গরীব মানুষের। নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকে ড মুহাম্মদ ইউনূস মাত্র ৩০০ ডলার বেতনে চাকরী করতেন।কোম্পানীকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন যাতে কেউ এর একক মালিক হতে না পারে। কোম্পানী অধ্যাদেশ ২৮ ধারা অনুযায়ী তিনি এটি রেজিস্ট্রেশন করেন।শুধু যে গ্রামীন ব্যাংকে তিনি মালিকানা রাখেননি তা কিন্তু না। জর্জ সরোস, টেলিনরদের এনে তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর কথায় টেলিনর বাংলাদেশে আসে। তাঁর কথায় তাঁর বিলিয়নিয়ার বন্ধুরা গরীবদের উন্নতির জন্য ফান্ড দেয়। তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। সেটাও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই। অনেকেই জানেন না গ্রামীন টেলিকমকে নন ফর প্রফিট কোম্পানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও তিনি নিজের জন্য ১% মালিকানাও রাখেননি। তিনি চাইলে ইজিলি ১০-১৫ পার্সেন্ট মালিকানা নিজের জন্য রেখে দিতে পারতেন। অথচ লাভের এক টাকাও যাতে নিজের কাছে না আসে, সেটা নিশ্চিত করেন তিনি। মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, সবাই এককভাবে সম্পত্তির মালিক হতে থাকলে গরীব আরো গরীব হয়ে যাবে, ধনী আরো ধনী হবে। ফলে বিশ্বব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে। এই বিশ্বাস থেকেই ওনি সব ননপ্রফিট বা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান তৈরী করে গেছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে নিজের বা পরিবারের কাউকে রাখেননি।

আমাদের দেশে এসব কল্পনাও করতে পারেন না, একজন মানুষ ব্যবসা করবে অথচ সেখান থেকে নিজে কোনো লাভ করবে না। এমন কথা আমরা ভাবতেই পারিনা। আমরা ভাবতে পারি কেবল টাকা কামানোর কথা। যেমনভাবে ড মুহাম্মদ ইউনূস বলেন- টাকা কামানোতে আছে সুখশান্তি, অন্যের উপকারে আছে প্রশান্তি। ওনার ভাষায় ‘নিজের জন্য টাকা কামানো হয়তো হ্যাপিনেস, অন্যের উপকার হচ্ছে সুপার হ্যাপিনেস।’

প্রশ্ন থাকে, তাহলে ড মুহাম্মদ ইউনূসের আয়ের উৎস কী? এটাও অনেকে জানেন না। ড.মুহাম্মদ ইউনূস হচ্ছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত বক্তাদের তালিকার শীর্ষে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন । তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য খরচ করতে হয় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার মত। কখনো আরো বেশী। বিশ্বের নামীদামী প্রতিষ্ঠান গুলো তাঁকে টাকা দিয়ে নিয়ে যান  বক্তব্য শুনতে। তাঁকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার জন্যও ডাকা হয়। ২০২৪ সালের ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির ৩ জনের একজন হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে আরেকজন প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখ্রো। ২০২৬ ইতালী অলিম্পিকের জন্য ইতালীয়ানরা ওনাকে পাওয়ার জন্য তদবির করছে। যাতে ওনি পরামর্শ দেন।

এই পৃথিবীতে সত্যিকারের মেধাবীরা অহেতুক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হন না। তাঁরা নিজেদের কর্মের মাধ্যমে ইতিহাস গড়েন, কিন্তু নিজেরা প্রচারের জন্য হাঁসফাঁস করেন না। যে জিনিসের প্রকৃত মূল্য রয়েছে, তার বিজ্ঞাপন লাগে না—স্বর্ণ, হীরা কিংবা অনন্য মেধার মতো। ঠিক তেমনই একজন মানুষ ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

ড. ইউনুসের বক্তব্য ১ ঘন্টা ধরে ধৈর্য ধরে শুনলেও কেউ বিরক্ত হবে না, দুনিয়ার কারও চাটুকারিতাও করেন না। রাগ করে কথাও বলেন না। তিনি ঠান্ডা মাথার এক প্রাজ্ঞ ও খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব। জ্ঞান-গবেষণার এক বটবৃক্ষ মায়াভরা স্মিতহাসির  মানুষ।ড. ইউনুস কখনও অপ্রয়োজনীয় কথা বলেন না, মিডিয়ার সামনে অহেতুক উপস্থিত হন না, কিংবা নিজের কীর্তির ঢোল পেটান না। তিনি যা বলেন, তাতে গভীরতা থাকে, ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা থাকে। তাঁর প্রতিটি শব্দই পরিমিত, প্রতিটি চিন্তাই সুস্পষ্ট। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ফায়দা লুটতে যান না। চেতনাকে বিকৃত করেন না, অসম্মানও করেন না। ইতিহাসকে তিনি নিরপেক্ষ চোখে দেখেন এবং সেটির যথাযথ মর্যাদা দিতে জানেন। তিনি কাউকে ভয় দেখিয়ে নিজের অবস্থান মজবুত করার চেষ্টা করেন না, প্রতিশোধ পরায়ণ নন, অহংকারীও নন। ড. ইউনুস কারও কোন সমালোচনা বা ব্যাঙ্গ করে কথা বলেন না।কারও অতিরিক্ত প্রশংসা করেন না, আবার কাউকে ঘৃণা করতেও শেখান না। তিনি কোনো দলের, কোনো ধর্মের সমালেআচনা বা ধর্মের নামে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেন না। কোনো বড় কাজ করলেও তার প্রচার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন না। বরং তিনি ভবিষ্যতের কথা বলেন, স্বপ্ন দেখান,তরুণদেরকে আশার সঞ্চার করান,তরুণদের এগিয়ে যাওয়ার সাহস দেন।ড. ইউনুস শুধু স্বপ্ন দেখান না—তিনি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। সুযোগ পেলে তিনি এমন কিছু করে যাবেন, যা আমাদের ভাবনার গণ্ডিরও বাইরে। কিন্তু সেই সুযোগ কি আমরা দেব? নাকি আমরা অমূল্য হীরার মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হব?

এই সমাজের জন্য, এই জাতির জন্য তথা পৃথিবীর জন্য তিনি এমন কিছু করে যেতে চান যা কল্পনারও বাইরে। র্দুভাগ্য আমাদের তা বোঝার ক্ষমতা নাই,যারফলে আমরা তাঁকে সেই সুযোগো দিচ্ছি না। নাই।অলসতা ও অক্ষমতা তাঁকে স্পর্শ করতে পারে নাই । চাঙ্গা মনোবল ও দুর্জয় সাহসিকতাই ড. ইউনুসের  সম্বল। তিনি বিরতিহীনভাবে কাজ করেন বয়স শারীরিক দুর্বলতা তাঁকে ক্লান্ত করেত পারে নাই। আত্মপ্রচার বা আত্মগরিমাহীন ব্যক্তিত্ব ।এ এক জ্ঞানের পরশমনি ।তিনি এক অনন্য অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। এটাকেই বলে আন্তর্জাতিক ব্যাক্তিত্ব।

তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।তিনি বাংলাদেশে একটা বিশ্ববিদ্যালয় করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু অনুমতি পাননি। একটা আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হতো। তাঁর ডাকে পৃথিবীর সেরা সেরা প্রফেসররা সেখানে এসে ক্লাস নিয়ে যেতো। ওনি ডাকলে এমনকি বিল গেটস কিংবা আমেরিকান প্রেসিডেন্টও তাঁর ইউনিভার্সিটিতে স্পীচ দিতে চলে আসতো। কিন্তু সেটা হতে দেয়া হয়নি। ড মুহাম্মদ ইউনূসকে যত জানবেন, আপনার মনে হবে- দেশ এবং জাতি হিসেবে আমরা ড মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রাপ্য নই।

বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন। ২০২৫ সালের জন্য ‘নেতা’ ক্যাটাগরির তালিকায় স্থান পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।এই একই তালিকায় রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া সেইনবোম এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের নাম।প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পাওয়া অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ ও তাঁর সঙ্গে কাজ করা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন হিলারি ক্লিনটন। ভাল শিল্পির গান শুনার পর শ্রোতারা উচ্চস্বরে বলতে থাকে আরও একটি,আরও একটি বলে চিৎকার করে থাকে। বাংলাদেশের চুপান্ন বৎসরের ইতিহাসে এই প্রথম কোন সরকার প্রধানকে দেশ-বিদেশে সর্বমহল থেকে আরো পাচঁ বৎসর রাস্ট্র ক্ষমতায় থাকার জন্য চিৎকার করতে দেখা য়ায় নাই। তাঁর কাজ আলোর দিশারী হয়ে থাকবে। তিনি রেখে যাচ্ছেন অসাম্প্রদায়িক মানবিক ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর আত্মমগ্ন জ্ঞানচর্চা গভীর পান্ডিত্যের মাধ্যমে তিনি অন্যদের অনুপ্রণোদিত করেছেন । তিনি এ যুগের জ্ঞানতাপসের শ্রেষ্ঠতম প্রতিনিধি। “তিন শূণ্য” তত্ত তাঁকে আবার আলোচনায় আনবে। প্রফেসর ড.ইউনুস জ্ঞানচর্চার বাঁশরী হয়েই আমাদের মাঝে বেঁচে থাকুন । তিনি দেশকে গর্বিত করেছেন। হে নোবেল বিজয়ী ..ধন্যবাদ আমাদের গর্বিত করার জন্য।