১৮-দলীয় জোট এখন ১৯-দলীয় জোটে পরিণত হয়েছে

0
947

downloadসাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির যোগদানের মধ্যদিয়ে পরিধি বেড়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট এখন ১৯-দলীয় জোটে পরিণত হয়েছে।

শনিবার রাত ৮টা ৪৩ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে তার হাতে ফুল দিয়ে কাজী জাফর আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই জোটে যোগ দেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে কাজী জাফর বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আজ থেকে ১৮-দলীয় জোটে প্রবেশ করেছে। বিজয় আমাদের হবেই।’

এর আগে বিকেলে গুলশানের বাসায় কাজী জাফর দলের বর্ধিত সভায় ১৮-দলীয় জোটে যোগদানেরর সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজ দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কাজী জাফর আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ দলে যোগদান করলেন।’

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল নির্দলীয় সরকারের আন্দোলনকে সামনে রেখে বিএনপির নেতৃত্বে ১৮-দলীয় জোট গঠিত হয়।’

বর্তমানে এই জোটে রয়েছে- জামায়াতে ইসলামী, জোটে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্র্টি (এলডিপি), ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ ভাসানী, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামা ইসলাম, পিপলস লীগ ও ডেমোক্রেটিক লীগ।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে এইচএম এরশাদের সঙ্গে প্রাকাশ্যে বিরোধের জের ধরে গত ২০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক কাউন্সিলের মাধ্যমে কাজী জাফরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একাংশ নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে।

ওই কাউন্সিল থেকে কাজী জাফর ১৮-দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৫ জানুয়ারি ভোট বর্জনের আন্দোলনে সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা দেন।

এদিকে, যোগদান অনুষ্ঠান ঘিরে আজ রাত সাড়ে ৭টার দিকে কাজী জাফর আহমেদ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ কয়েকশ’ নেতাকর্মী নিয়ে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় আসেন।

কার্যালয়ের নিচ তলায় হল রুমে যোগদান উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। রাত সোয়া ৮টার দিকে খালেদা জিয়া অনুষ্ঠান স্থলে আসেন। এর আগে তিনি দ্বিতীয় তলায় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

অনুষ্ঠানে জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য টিআইএম ফজলে রাব্বী, কাজী মাহমুদ হাসান, এসএমএম আলম, এইচএম গোলাম রেজা, গোলাম মোস্তফা বাটুল, সৈয়দ শফিউল্লাহ, এমকে আলম চৌধুরী, নবাব আলী, মনিরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় ১৮-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এলডিপির অলি আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর রেদাওয়ান উল্লাহ শাহেদী, বিজেপি আন্দালিব রহমান পার্থ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলনা আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবারাহিম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, এনপিপির শেখ শওকত হোসেন নিলু, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির খন্দকার গোলাম মুতর্জা, ইসলামিক পার্টির অ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, মুসলিম লীগের এএইচ এম কামরুজ্জামান খান, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ প্রমুখ নেতারা ছিলেন।

এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আর গনি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, সারোয়ারী রহমান, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান প্রমুখ ছিলেন।