ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
১৩ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টিম ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র নিয়ে আসেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ অভিযোগপত্র জমা দেন তারা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বিষয়টি জানিয়েছেন।
গত ৬ অক্টোবর দিনগত রাতে ফাহাদকে নির্দয়ভাবে পেটান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে, শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান তার সহপাঠীরা। সেখানে চিকিৎসক ফাহাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় এর মধ্যে চার্জশিটভুক্ত ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।আদালতে অভিযোগপত্র নিয়ে আসা ডিবি পুলিশের সদস্যরা,
মামলার গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ, সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ এবং খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও আকাশ হোসেন (২১), বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ (২০), মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এস এম মাহমুদ সেতু ও এস এম মাহমুদ সেতু। এর মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেফতারদের মধ্যে ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু ছাড়া বাকি সবাই এজাহারভূক্ত আসামি। তবে অভিযোগপত্রে কাদের নাম এসেছে তা জানা যায়নি।