৯ম বারের মতো আ’লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা

0
889

৯ম বারের মতো আ’লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা

দখিনা ডেস্ক: শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন হয় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এই সম্মেলনের উদ্বোধন এবং উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর ২৫ মিনিট চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসময় দলীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।

শনিবার ২১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু। এতে সমর্থন দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। পরে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন অন্যান্য কাউন্সিলরদের তিনবার জিজ্ঞাসা করলে তারাও শেখ হাসিনার নামই বলেন। পরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান। এ নিয়ে নবমবারের মতো দলটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা ।

দলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত সভাপতি হয়েছেন সাতজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দলটির সভাপতি হিসেবে সর্বোচ্চ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তিনবার করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ দুইবার এবং এএইচএম কামারুজ্জামান ও আবদুল মালেক উকিল একবার করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন ৭৫ পরবর্তী পরিস্থিতিতে একবার দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

সা. সম্পাদক ওবায়দুল কাদের:

টানা দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন দলের সদ্য বিলুপ্ত ঘোষিত কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। এতে সমর্থন দেন সদ্য বিলুপ্ত ঘোষিত কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। পরে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন অন্যান্য কাউন্সিলরদের জিজ্ঞাসা করলে তারাও ওবায়দুল কাদেরের নামই বলেন। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওবায়দুল কাদেরকে দলের সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত দলের দ্বিতীয় শীর্ষ পদ ‘সাধারণ সম্পাদক’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নয়জন। সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ চারবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিল্লুর রহমান। এছাড়া তাজউদ্দিন আহমেদ তিনবার, আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দুইবার করে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ও আবদুল জলিল একবার করে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অন্যদিকে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ওবায়দুল কাদের।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য : ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীতে রয়েছেন- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মাদ নাসিম, কাজী জাফর উল্ল্যাহ, সাহারা খাতুন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, আবদুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, মান্নান খান, আবদুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান। এছাড়া পদাধিকার বলে শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদেরও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের।দলটির এবারের সম্মেলনে কাউন্সিলর ছিলেন সাড়ে সাত হাজার, অংশ নেন ২০ হাজারের মতো ডেলিগেটস। এছাড়াও দলের নেতাকর্মী, সমর্থকসহ ৫০ হাজারেরও বেশি অতিথি সমবেত হন সম্মেলনস্থলে।