রাজশাহী রয়্যালসের সহজ জয়

0
609

 

প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ধুঁকতে থাকা খুলনা টাইগার্স শেষ অবধি তুলতে পারে ১৪৫ রান। চট্টগ্রাম পর্বে যেভাবে রান উৎসব হয়েছে তাতে এই রান তেমন কিছুই না! রাজশাহী রয়্যালসের জয় পেতে তাই কষ্ট হয়নি একটুও।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতের ম্যাচে ১২ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটের অনায়াস জয় নিশ্চিত করেছে আন্দ্রে রাসেলের দল। রাজকীয় এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে উঠে বসল রাজশাহী।

রাজশাহীর দাপুটে এই জয়ে অধিনায়ক রাসেলের ভূমিকাটাই ছিল বেশি। বল হাতে চার উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ১৯ বলে তিনটি চার ও এক ছয়ে ২৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন ক্যারিবিয় দানব। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তাই তার হাতেই।

রয়্যালসদের এ জয়ে দারুণ অবদান আছে লিটন কুমার দাসেরও। ওপেনিংয়ে নেমে ব্যাট হাতে খেলেছেন ৪৪ বলে ৫৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটা ইনিংস।

এছাড়া আফিফ হোসেন ধ্রুব ১৮ বলে ২২, শোয়েব মালিক ১৯ বলে ১৬ ও রবি বোপারা ৮ বলে ১৩ রান করেন। খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন রবি ফ্রাইলিংক ও শহিদুল ইসলাম।

এর আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান তোলে খুলনা টাইগার্স। শুরুটা বড্ড বাজে হয়েছিল খুলনার। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ২৯ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় দলটি। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে এতো বাজে শুরু আর কোনও দলের হয়নি।

মুশফিকুর রহিমের দল যেভাবে এগুচ্ছিল মনে হচ্ছিল বিপিএলের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডই বুঝি আজ হতে যাচ্ছে! শেষ পর্যন্ত তা অবশ্য হয়নি। অভিজ্ঞ শামসুর রহমান শুভ ৪৬ বলে চারটি চার ও এক ছয়ে ৫৫ রান করে উদ্ধার করেছেন খুলনাকে। শুভ ছাড়া খুলনার পক্ষে দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পেরছেন মাত্র দুজন। আর দুজনেই আবার দক্ষিণ আফ্রিকান। যার মধ্যে রাইলি রুশো ২৪ বলে করেন ৩৫ রান আর রবি ফ্রাইলিংক ২৬ বলে করেন ৩১ রান।

রাজশাহীর হয়ে আন্দ্রে রাসেল চার ওভার বোলিং করে ৩৭ রানে চার উইকেট তুলে নিয়েছেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি ও রবি বোপারা।

এদিকে, আগামীকালও রয়েছে দুটি ম্যাচ। দুপুর দেড়টায় ঢাকা প্লাটুনের মোকাবেলা করবে সিলেট থান্ডার্স। আর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্সের মুখোমুখি হবে রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস। দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।