সচেতনতা তৈরির জন্য খাদ্য দ্রব্যের মোড়কে সতর্কতা উল্লেখ করা উচিত
দখিনা রির্পোট: খাদ্য দ্রব্যের মোড়কে উল্লেখ করা উচিত যে সেই খাবারটি খেলে তা থেকে পাওয়া ক্যালোরি পোড়াতে মানুষকে কতক্ষণ ব্যায়াম করতে হবে। প্রাথমিক গবেষণায় পাওয়া গেছে, খাবারের মোড়কে এ ধরণের লেবেল থাকলে তা মানুষকে কম পরিমাণ ভোগ করতে উৎসাহিত করবে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গঠনকে উৎসাহিত করা।
গবেষকরা বলছেন, একটি পিৎজা ক্যালোরি পোড়াতে চার ঘণ্টা হাঁটতে হয় এবং একটি চকলেট বার খেলে তার ক্যালোরি পোড়াতে ২২ মিনিট দৌড়াতে হয়- এ ধরণের তথ্য খাবারের জ্বালানি ব্যয় সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে।
লফবারো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা যারা এ ধরণের অন্তত ১৪টি গবেষণা খতিয়ে দেখেছেন তারা বলছেন যে, মোড়কের গায়ে এ ধরণের লেবেলিং থাকলে একজন ব্যক্তি দৈনিক অন্তত ২০০ ক্যালোরি কম গ্রহণ করেন।
“তাই উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি একটি চকলেট কেনেন এবং এতে যদি ৫০০ ক্যালোরি থাকে তাহলে এটি ঝরাতে আপনাকে ৫০ মিনিট দৌড়াতে হবে।”
“এটা অবশ্যই ডায়েটিংয়ের বিষয় নয়।” “এটা মানুষকে জানানো যে আপনি যখন খাবার খান তখন এর একটি জ্বালানি খরচ আছে, যাতে তারা এ নিয়ে চিন্তার সুযোগ পায় ‘আমি কি আসলেই এই চকলেট কেক ঝরাতে দুই ঘণ্টা পরিশ্রম করতে রাজি আছি?’ এই চকলেট কেকটি কি আসলেই তার জন্য উপযুক্ত?”
“এ ধরণের লেবেলিং একজন ব্যক্তির শক্তি খরচের প্রেক্ষিতে তার ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রাকে চিত্রিত করে এবং এর মাধ্যমেই আমরা যে রেকর্ড পরিমাণ স্থূলতার মুখে পড়েছি তা আংশিকভাবে হলেও ব্যাখ্যা করা যায়।”
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিষেজ্ঞরা বলছেন, এই লেবেল চালু করা উচিৎ এবং তারা মনে করছেন যে, অনেক ভোক্তাও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবেন। “ছোট পদক্ষেপও ক্যালোরি গ্রহণ এবং ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারে।”