ই-সিগারেটের উপর কঠোর নিয়মকানুন আসছে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ই-সিগারেটের উপর কঠোর নিয়মকানুন আরোপ করতে চলেছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই ডিভাইসগুলি থেকে মৃত্যুর ও অসুস্থতার রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে, এবং এরই সাথে সাথে ই-সিগারেটের ফলে শারীরিক যে ঝুঁকি রয়েছে, তা নিয়েও যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, একসময় ই-সিগারেট জাতীয় পণ্যকে সিগারেটের নিরাপদ বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও এখন বিভিন্ন গবেষণায় এর ক্ষতির বিষয়গুলো সামনে আসছে। সুতরাং আমরা এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা করছি’
সরকার দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব । তিনি বলেন, ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট এর ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে তরুণ ও যুব সমাজকে রক্ষা করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ই-সিগারেট, ভ্যাপিংসহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট উৎপাদন, আমদানি ও বিপণন নিষিদ্ধ করাই হবে বাংলাদেশের জন্য সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
দেশে ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট এর ব্যবহার তরুণ ও যুবসমাজের মধ্যে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বিক্রয়কেন্দ্র। অনলাইন ও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ই-সিগারেট সামগ্রী বিক্রয় হচ্ছে। ইতোমধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এছাড়া শ্রীলংকা, নেপাল, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ ৩০টির অধিক দেশ এসব পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। সুতরাং এই বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে কাজে লাগাতে হবে।