জার্মানওয়াচ অনুযায়ী , ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চরম আবহাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে আছে৷ চরম আবহাওয়া বলতে ঝড়, বন্যা, তীব্র গরম এসবকে বুঝিয়েছে জার্মানওয়াচ৷যে আন্দোলন বিশ্বের ইতিহাস বদলে দিয়েছিল
ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল পুয়ের্টো রিকোতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে হারিকেন মারিয়া আঘাত হেনেছিল৷ এতে সরকারি হিসেবে প্রাণ হারান ২,৯৭৫ জন৷ তবে শুধু ২০১৭ সালেই নয়, অঞ্চলটি প্রায়ই দুর্যোগের শিকার হয়৷ ফলে জার্মানওয়াচের তালিকায় গত ১৯ বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে পুয়ের্টো রিকোর নাম উঠে এসেছে৷
অন্য এক সূচকে দেখা যায় বাংলাদেশ নবম ।এই সূচকটি শুধুমাত্র ২০১৭ সালের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, ঐ বছর বাংলাদেশে দুর্যোগে ৪০৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ২৯০ কোটি ডলার৷
বাংলাদেশ (৭) ও পুয়ের্টো রিকো (১) ছাড়া সূচকে শীর্ষ দশের অন্য দেশগুলো হচ্ছে হন্ডুরাস (২), মিয়ানমার (৩), হাইতি (৪), ফিলিপাইন্স (৫), নিকারাগুয়া (৬), পাকিস্তান (৮), ভিয়েতনাম (৯) এবং ডোমিনিকা (১০)৷ অতীত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে জার্মানওয়াচ বলছে, সাধারণত শিল্পোন্নত দেশগুলোর চেয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোই চরম আবহাওয়ার কারণে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে ৷
২০১৭ সালের সূচকে বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ শ্রীলঙ্কা (২) ও নেপালের (৩) নাম আছে৷ ২০১৭ সালের মে মাসে শ্রীলঙ্কায় ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দুশ’র বেশি মানুষ প্রাণ হারান৷ নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতেও (১৪) বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা দেখা দিয়েছিল৷ ফলে ঐ তিন দেশের প্রায় ৪০ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন৷
জলবায়ু ঝুঁকি এখন ধনী-গরীব ইস্যূ নয় । এর প্রভাব সকল দেশগুলোর উপরও পড়ছে। ২০১৭ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট একের পর এক হারিকেনের আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ধনী কয়েকটি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ ফলে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টি যে দিন দিন সার্বজনীন সমস্যায় পরিণত হচ্ছে, তা ধনী দেশগুলো এখন বুঝতে পারছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা ৷