নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিদের নির্বাচনী কাজে অংশ নেয়া নিয়ে ধোয়াশা তৈরি 

0
423

আগামী ৩০শে জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির ৫৪ লাখেরও বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিদের নির্বাচনী কাজে অংশ নেয়া নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ি স্থানীয় সরকারের কোন নির্বাচনী কাজে সরকারের মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যরা অংশ নিতে পারেন না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তোফায়েল আহমেদ দাবি করেছেন সিটি নির্বাচনে এমপিরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া ছাড়া সবই করতে পারবেন। ঢাকার বিভক্ত দুই সিটির নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী লীগ যে কমিটি করেছে সেখানে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। তারা নির্বাচনকাজে অংশ নিতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে দলীয় নেতাদের বক্তব্যেও ধোয়াশা রয়েছে। প্রচারণায় অংশ নিতে না পারলেও তারা নির্বাচনের সমন্বয় কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমন্বয়ক তোফায়েল আহমেদ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা প্রচারে অংশ না নিলেও কোন সমস্যা হবে না।

কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিষয়টি নিয়ে ধোয়াশা তৈরি হওয়ায় এ নিয়ে একটি পরিপত্র জারির দাবি তুলেছেন জেষ্ঠ্য নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকার। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দেয়া আনঅফিসিয়াল নোটে তিনি এ দাবি করেন। এতে তিনি বলেন, বিদ্যমান আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচন সম্পর্কিত যে কোনো কমিটিতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এই নির্বাচনী কার্যক্রম ঘরে বা বাইরে যে কোনো স্থানে হতে পারে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেনও বলেছেন, নির্বাচনে কারা কাজ করতে পারবে, আর কারা পারবে না নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই একটি পরিপত্র জারি করতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা জানিয়েছিলেন, সিটি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা প্রচারণা ও ঘরোয়া কাজেও অংশ নিতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের প্রধান তোফায়েল আহমেদ অবশ্য বলেছিলেন, নির্বাচন কাজে এমপিদের অংশ নেয়ার সুযোগ আছে।