নিপাহ ভাইরাস: খেজুরের কাঁচা রস না খাওয়ার পরামর্শ

0
486

নিপাহ প্রাণঘাতী এক ভাইরাস। বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও মারা যায় বেশিরভাগ রোগীই। এ সপ্তাহে খুলনায় এক নারীর শরীরে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। এই রোগের হাত থেকে বাঁচতে খেজুরের রস ও বাদুড়ে খাওয়া ফল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ার সুঙ্গাই নিপা গ্রামে শুকরের শরীর থেকে প্রথম ছড়ায় নিপাহ ভাইরাস। আক্রান্ত ৩০০ জনের মধ্যে মারা যায় ১০০ রোগী। এরপর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে সিঙ্গাপুর, ভারত ও হংকংয়ে।

ভাইরাসটি বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে। এ পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত হয়েছে ৩১৬ জন। এবারের শীতের মৌসুমে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুই জনই মারা গেছেন। বেঁচে থাকা রোগীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

নিপাহ আক্রান্ত হলে ৪ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে প্রকাশ পায়। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো জ্বর, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, মাংসপেশিতে ব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, খিঁচুনি, অচেতন হয়ে পড়াসহ নানা লক্ষণ দেখা দেয়। আক্রান্তদের ৭০ ভাগকেই বাঁচানো যায় না। আর যারা বেঁচে থাকেন তারাও মস্তিষ্কের সংক্রমণে ভোগেন।

আক্রান্ত রোগীর হাঁচিকাশি, লালার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই জটিল রোগ। বাদুড়ে খাওয়া ফল গরু ছাগল খেলে, সংক্রমিত গরু থেকেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। রোগীর থালাবাসন ও পোশাকও অন্যরা ব্যবহার করতে পারবে না।

গবেষকরা বলেছেন, খেজুরের রস ৭০ ডিগ্রির বেশি তাপে ফুটিয়ে খেতে হবে। খাওয়া যাবে না বাদুড়ে খাওয়া ফল।

বাদুড় নিপা ভাইরাস ছড়ায় না। কেবল ভাইরাসবাহী বাদুড়ের মাধ্যমেই এই রোগ ছড়ায়।