এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক(এডিবি) পুঁজিবাজারে জন্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন

0
621

বাংলাদেশে তৃতীয় পুঁজিবাজার পুনর্গঠন, বিকাশ ও কাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচির (সিএমডিপি) জন্য দ্বিতীয় কিস্তিতে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ যা প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব দ্বিতীয় ধাপে এই ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।এর আগে একই প্রকল্পে ৮ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল এডিবি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এবার দিচ্ছে তার দ্বিগুণের বেশি।

ফিলিপাইনের ম্যানিলায় এডিবির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এ ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে বলে এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিশ্চিত করেছে এডিবি’র ঢাকা অফিস।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বিকাশে ১৯৯৬ সালে ৮ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেয় এডিবি। এরপর ২০১০ সালের ভয়াবহ ধসের পর আবারো পুঁজিবাজারকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে সংস্থাটি। ২০১২ সালে সিএমডিপি-২ প্রকল্পের আওতায় এডিবি দুই ধাপে ৩০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেয়। আর সর্বশেষ ২০১৫ সালে সিএমডিপি-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে দুই ধাপে ২৫ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেয় এডিবি।

এডিবি ঋণ প্রদানের পাশাপাশি তৃতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচির কারিগরি সহায়তা হিসেবে চার লাখ ডলারের মঞ্জুরি সহায়তা দিচ্ছে। এছাড়া এই কর্মসূচিতে তিন লাখ ডলারের কারিগরি মঞ্জুরি সহায়তা প্রদান করেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।

এডিবির ফাইনান্সিয়াল সেক্টর অ্যানালিস্ট তকুয়া হোসিনো বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকল্পে সরকারের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দীর্ঘমেয়াদে অবকাঠামোসহ অন্যান্য উৎপাদনশীলখাতে বিনিয়োগের অর্থ সরবরাহের লক্ষ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে সংস্কারের মাধ্যমে আইনি, রেগুলেটরি এবং প্রাতিষ্ঠানিক বাজার কাঠামো উপযুক্ত পর্যায়ে রুপান্তর করতে পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচিতে এডিবি দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা প্রদান করছে।’

তৃতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো-ব্যাপকভিত্তিক সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই পুঁজিবাজার বিকাশের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধাসমূহ দূর করা। প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ বছর মেয়াদি জাতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ডি-মিউচুয়ালাইজেশন, উন্নত করপোরেট সুশাসন, আর্থিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষাকে আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্য করা এবং বিমা খাতের উন্নয়নে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।