নাঈমের কৃতিত্বে খেলায় ফিরলো বাংলাদেশ

0
448

বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুর চাপটা ভালভাবে সামলিয়েছে জিম্বাবুয়ে। দিনের শুরুতে হারানো ১ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে প্রথম সেশন পার করে তারা। ফলে তখন পর্যন্ত বাংলাদেশি বোলারদের বেশ ঘাম ঝড়িয়েছে সফরকারীরা।

তবে লাঞ্চের বিরতির পর একের পর এক আঘাত হানার চেষ্টা করেন আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেন ও নাঈম হাসানরা।

প্রথম সেশনে সফল না হলেও এ দফায় জোরা আঘাতে খেলায় ফিরেছে মোমিনুলরা। দলীয় ১১৮ রানের মাথায় জিম্বাবুয়ে শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন স্পিনার নাঈম হাসান।

ওপেনার পিন্স মাসভাউরে ও অধিনায়ক ক্রেড এরভিনের ১১১ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। ৯ চারে ৬৪ রান নিয়ে মাসভাউরে সাজঘরে ফিরলেও অর্ধশতক নিয়ে এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন দলপতি এরভিন।

মাসভাউরের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেইলর। এবার সরাসরি স্ট্যাম্প ভাঙেন নাঈম। তাকে ১০ রানে প্যাভিলিয়নের পথে ফেরান এ স্পিনার।

এর আগে দিনের শুরুতে টানা ৪ ওভার মেডেন দিয়ে সফরকারীদের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন আবু জায়েদ রাহী।

দলীয় ৭ রানের মাথায় জিম্বাবুয়ের ওপেনার কেভিন কাসুজা রাহীর বলে নাঈম হাসানের তালু বন্দি হন। এরপর একাধিকবার আঘাত হানার চেষ্টা করেও প্রথম সেশন পর্যন্ত ভাঙা যায়নি সফরকারীদের দেয়াল।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩৮ রান। ক্রিজে অধিনায়ক ক্রেগ এরভিন ৫৬ ও সিকান্দার রাজা শূন্য রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেগ এরভিন। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়েছে ম্যাচটি।

এ ম্যাচে বাংলাদেশে দলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় নেই সাকিব, বাজে পারফর্মের কারণে নেই মাহমুদুল্লাহ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। আর দলে থাকলেও নামানো হয়নি মোস্তাফিজুর রহমানকে।

অতীতের ইতিহাস বলে বাংলাদেশি স্পিনে বরাবরই ধুঁকেছে জিম্বাবুয়ে। মূল পর্বের আগে বিসিবি একাদশের সঙ্গে একমাত্র প্রস্ততি ম্যাচেও তাই দেখা গেছে। এদিকে, দেশের মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচে পেসার না নিয়ে নিলেও স্পিনার কম থাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রাখা হয়েছে দুই পেসার।

অপরদিকে ব্যাটিংয়ে ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে রাখা হয়েছে সাইফ হাসানকে। তিনে নাজমুল হোসেন শান্ত, চারে অধিনায়ক মোমিনুল হক আর পাঁচে মুশফিকুর রহিম। পাকিস্তানে ফিফটি হাঁকানোয় ছয় নম্বরে রাখা হয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনকে। লিটন দাসকে দেখা যাবে সাতে।

বাকীদের মধ্যে- স্পিনার দুজন হলেন নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম। তাইতো বসে রাখা হয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজকে। পেস আক্রমণে আছেন আবু জায়েদ রাহীর সঙ্গে ইবাদত হোসেন।

বাংলাদেশের একাদশ :
তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসাইন শান্ত, মোমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ রাহী ও এবাদত হোসেন।

জিম্বাবুয়ের একাদশ :

প্রিন্স মাসভাউরে, কেভিন কাসুজা, ক্রেগ এরভিন (অধিনায়ক), ব্রেন্ডান টেইলর, টিমিসেন মারুমা, সিকান্দার রাজা, রেজিস চাকাবভা, ডোনাল্ড তিরিপানো, ভিকটোর নায়াওসু, আইন্সলে ও চাল্টন টিসুমা।