বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের মুখে স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য ভাঙালো বিক্ষোভকারীরা

0
526

জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর অ্যামেরিকা জুড়েই বিক্ষোভ চলছে। সেই ক্ষোভ এ বার নজর কলম্বাসের মূর্তির ওপর। অ্যামেরিকার দুইটি জায়গায় ভার্জিনিয়া এবং বস্টনে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তির মাথা ভেঙে দিলেন বর্ণবাদ-বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। ভার্জিনিয়ায় মূর্তির মাথা ভেঙে বিক্ষোভকারীরা তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। তারপর মূর্তিটি একটি লেক-এ ফেলে দেওয়া হয়। বস্টনে মূর্তির মাথা ভেঙে পাশে তাঁরই নামাঙ্কিত পার্কে ফেলে দেওয়া হয়।

ভার্জিনিয়ার  রাজ্যের গভর্নর রালফ নর্দাম রিচমন্ডে কনফেডারেট জেনারেল রবার্ট ই লি-এর স্মৃতিস্তম্ভ অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন৷

সপ্তদশ শতকের ক্রীতদাস বাণিজ্যের সাথে জড়িত এডওয়ার্ড ক্লস্টনের ভাস্কর্যটি ব্রিটিনের ব্রিস্টলে বন্দরের কাছে ফেলে দেয় বিক্ষোভকারীরা৷

বেলজিয়ামে সাবেক বেলজিয়াম রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ডের ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তিটি অপসারণের কাজ চলছে৷ বিক্ষোভকারীরা এটিতে রঙ দিয়েছে এবং আগুন ধরিয়ে দিয়েছে৷

মিউজিয়াম অফ লন্ডন ডকল্যান্ডস এর বাইরে রবার্ট মিলিগানের ভাস্কর্য কম্বল দিয়ে ঢেকে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা৷লন্ডনের ক্যানারি ওয়ার্ফ এর কাছে মিউজিয়াম অফ লন্ডন ডকল্যান্ডস এর বাইরে রবার্ট মিলিগানের ভাস্কর্য অপসারণ করছে কর্মীরা৷

লন্ডনে পার্লামেন্ট স্কয়ারের সামনে উইস্টন চার্চিলের ভাস্কর্য রয়েছে৷ বিক্ষোভকারীরা এই ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে শ্লোগান দিচ্ছে ‘ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার’৷ চার্চিলের বেশ কয়েকটি মূর্তির সামনেই এমন বিক্ষোভ হয়েছে৷

জর্জিয়ার আটলান্টায় বিক্ষোভকারীরা হেনরি গ্রেডি’র ভাস্কর্য সরানোর জন্য শ্লোগান দিচ্ছে৷ গ্রেডি একজন সাংবাদিক ছিলেন, যিনি লিখেছিলেন দক্ষিণাঞ্চলে শ্বেতাঙ্গদের যে উচ্চবর্ণের আভিজাত্য রয়েছে, তা সারাজীবন বজায় রাখা উচিত৷

২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের এক পুলিশ কর্মকর্তা কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাকে সহায়তা দেয় আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তা। এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশটি জুড়ে তীব্র বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এই বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপেও। যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ করে ।