শতবর্ষে ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

0
897

শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১৯২১ সালের ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার। দেশের সেরা অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বীকৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাঙালির স্বাধীন জাতিসত্তার বিকাশ ও স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়, জাতির মনন গঠনে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ভূমিকা অনন্য । শিক্ষার পাশাপাশি রাজনৈতিক আন্দোলনে রয়েছে অনন্য অবদান। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ভাবে জড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার ১ জুলাই, ২০২০ এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্পারবেশ করবে শতবর্ষে।

পূর্ববঙ্গে উচ্চশিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা ‘দ্য ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০’ পাস করে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মুক্ত হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই। সে সময়কার ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির উপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশ সরকারের পরিত্যক্ত ভবনসমূহ ও ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনসমূহের সমন্বয়ে মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিন অনুষদ ও ১২ বিভাগ ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী এবং তিনটি আবাসিক হল নিয়ে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল।

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৮৪টি বিভাগ, ৬০টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল ও ১৩৮টি উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪৬ হাজারের অধিক। পাঠদান ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন দুই সহস্রাধিক শিক্ষক।

বুধবার প্রতিষ্ঠার ৯৯তম বার্ষিকী উদযাপনের মধ্য দিয়ে শতবর্ষে পদাপর্ন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লোকসমাবেশ এড়িয়ে শিক্ষার্থিবিহীন স্বল্পপরিসরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজনে করছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা ও গবেষণার বিস্তার, মুক্তচিন্তার বিকাশ এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নতুন ও মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ২০২১ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষপূর্তি উদ্যাপন করবে।