দানবীর হাজি মো. মহসিন

0
569

তেসরা জানুয়ারি নবাব সিরাজ উদ্ দৌলার বন্ধু দানবীর হাজি মুহাম্মদ মহসিনের ২৮৯ তম জন্ম-বার্ষিকী। বাংলার শ্রেষ্ঠ দানবীর হাজি মুহাম্মদ মহসিনের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি শুধু দানবীরই ছিলেন না; তিনি ছিলেন মানুষের প্রতি মায়া-মমতার মূর্তপ্রতীক। মুসলমানদের উচ্চ শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে দানবীর ১৮০৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ‘মহসিন ফান্ড’ নামক সংস্থায় তিনি তাঁর প্রায় সমস্ত ভূ-সম্পত্তি একটি ওয়াকফ দলিলের মাধ্যমে দান করে যান।

হাজি মুহাম্মদ মহসিন খ্রিস্টিয় ১৭৩২ সালের ৩ জানুয়ারি (মতান্তরে ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দে) পশ্চিম বঙ্গের হুগলিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আগা মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান ছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল জয়নব। তাঁর পূর্ব পুরুষের আদি নিবাস ছিল সুদূর পারস্যের ইস্ফাহান। সেখান থেকে ভাগ্য অন্বেষণে এসেছিলেন এদেশে। তারপর স্থায়ীভাবে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি শহরে আবাস গড়ে তুলে ছিলেন।

ইংরেজি ১৭৭০ সালে তাঁর দানের ওপর নির্ভর করে লক্ষ লক্ষ মানুষ অন্নাভাবজনিত মৃত্যু থেকে বেঁচে গিয়েছিল। হাজি মুহাম্মদ মহসিনের মায়ের নাম জয়নব খানম। তিনি ছিলেন সম্রাট আওরঙ্গজেবের খাজাঞ্চি আগা মোতাহারের দ্বিতীয় স্ত্রী। ভাগ্যের অন্বেষণে ভারতবর্ষে আসা আগা মোতাহার সম্ভ্রান্ত বংশের সন্তান ছিলেন। তাঁর প্রথম স্ত্রীর ঘরে কোনো সন্তান না হওয়ায় তিনি জয়নব খানমকে সন্তান লাভের আশায় বিবাহ করেন। দীর্ঘ দিন পর মোতাহারের দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নিল এক কন্যা সন্তান। তাঁর নাম ছিল মন্নুজান। আগা মোতাহার একসময় তাঁর মেয়ের নামে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি দান করেন। মন্নুজান ছোট থাকায় এ দানপত্র তিনি একটি মাদুলিতে ভরে তাঁর গলায় পরিয়ে দেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর তা দেখার জন্য উপদেশ দেন। আগা মোতাহারের মৃত্যুর পর মন্নুজান শবে মাত্র কৈশোরে পদার্পন করেছে। সে মাদুলি খুলে দেখেন আগা মোতাহার তার সমস্ত সম্পদ মেয়ের নামে লিখে দিয়ে গেছেন। যা দেখে জয়নব খান মন্নুজানকে হাতছাড়া করতে চাচ্ছিলেন না। তাই তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করলেন আগা মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহকে। এ ঘরেই জন্ম গ্রহণ করেন দানবীর হাজি মুহাম্মদ মহসিন। তখন সৎ বোন মন্নুজানের বয়স ১৩ বছর। মন্নুজানও ভাই পেয়ে মহা খুশী। হাজি মুহাম্মদ মহসিনের লালন-পালন, দেখাশুনা ও বাল্য শিক্ষা মন্নুজানের তত্ত্বাবধানেই চলতে লাগলো।

এদিকে মন্নুজান যৌবনে পদার্পন করেন। হাজি মুহাম্মদ মহসিন শিক্ষাকালে মন্নুজান হুগলিতে একাকি বাড়িতে থাকতেন। একদিকে তাঁর অনেক সম্পদ অন্য দিকে যুবতী মেয়ে। তাই কিছু দুষ্ট লোক তাঁর পেছনে ষড়যন্ত্র করতে লাগলো। তাই মন্নুজান ষড়যন্ত্রের কথা জেনে ভাই হাজি মুহাম্মদ মহসিনকে পত্র পাঠান। পত্র পেয়ে হাজি মুহাম্মদ মহসিন বোনকে রক্ষায় বাড়ি ফিরে আসেন। ভাই মহসিনকে তিনি তাঁর সমুদয় সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেন।

বোনকে সুপাত্রস্থ করার জন্য মহসিন চিন্তিত হয়ে পড়লেন। অবশেষে হুগলিতে নবাবের নিযুক্ত ফৌজদার সালাহউদ্দিনের সঙ্গে বোনের বিবাহ দিলেন। ধন-সম্পদের প্রতি নিরাসক্ত হাজি মুহাম্মদ মহসিন বোনের বিয়ের পর দেশ ভ্রমণে বের হন। সফরকালে তিনি হজ পালন করেন। তিনি মক্কা, মদিনা, কুফা, কারবালাসহ ইরান, ইরাক, আরব, তুরস্ক এমন নানা স্থান সফর করেছেন। সফর শেষে দীর্ঘ ২৭ বছর পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু তাঁর বিবাহ-শাদিতে মন বসছিল না। তাই তিনি সংসার জীবন থেকে দূরে ছিলেন।

বোনের অনুমতিক্রমে হাজি মুহাম্মদ মহসিন মুর্শিদাবাদে আসেন। তখন তাঁর বয়স ৬০ বছর। এ দিকে নিঃসন্তান বোন মন্নুজান স্বামীকে হরিয়ে বিধবা। তিনিও বার্ধক্যে উপনীত। এদিকে বিশাল সম্পদের মালিক আবার একাকি নিঃসঙ্গ। বোন মন্নুজান সম্পদের পেরেশানি থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর ধ্যানে জীবন কাটাতে ছোট ভাইয়ের নামে তাঁর সমস্ত সম্পদ লিখে দেন। সম্পদ লিখে দেয়া কয়েক বছর পর ১৮০৩ সালে বোন মন্নুজান ইন্তেকাল করেন।

বিপুল সম্পদের মালিক হয়েও মহসিন ছিলেন খুব ধার্মিক , নিরহঙ্কারী এবং সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন। ৭০ বছরের হাজি মহসিন এ বিপুল সম্পদ দানসদকায় ব্যয় করার মনস্থ করলেন। এ বিশাল সম্পদ তিনি মানবতার সেবায় ব্যয় করেন। দেশের সকল গরীব-দুঃখী ও দুঃস্থদের সেবায় তিনি নিজের সব সম্পদ বিলিয়ে দেন।  তিনি তার প্রতিষ্ঠিত ইমাম বাড়া প্রাসাদে বাস করতেন না। ইমাম বাড়ির পাশে একটি ছোট কুটিরে বাস করতেন।আর কুরআন শরীফ নকল করে যা পেতেন তা দিয়েই চলতেন। নিজ হাতে রান্না করে অধীনস্তদের নিয়ে বসে খেতেন। একবার এক চোর তার ঘরে প্রবেশ করে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। মহসিন যখন জানতে পারে যে দরিদ্র লোকটির পরিবার ক্ষুধার্ত তখন সে তাকে আলমারির সিন্দুক থেকে যত ইচ্ছা অর্থ নিতে বলে। চোরটি যখন জানতে পারে যে এই ব্যক্তি হচ্ছেন দানবীর মহসিন তখন সে অভিভূত হয়ে পড়ে।!

তাঁর সমুদয় অর্থ ফাউন্ডেশনের জন্য দান করেন। এ ফান্ডের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য দুই জন মোতাওয়াল্লি নিয়োগ করেন। শুধু মোতাওয়াল্লি নিয়োগই নয়, মহসিন ফান্ডের ব্যয় নির্বাহের জন্য দানকৃত সম্পত্তিকে নয়ভাগে ভাগ করেন।তন্মধ্যে তিনভাগ সম্পদ ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের জন্য। চারভাগ সম্পদ পেনশন, বৃত্তি ও দাতব্য কর্মকাণ্ডে খরচ করার জন্য এবং দুইভাগ সম্পদ মোতাওয়াল্লিদের পারিশ্রমিকের জন্য বরাদ্দ করেন। তাছাড়া তাঁর দানকৃত অর্থে অসংখ্য দরিদ্র ছাত্রের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়।

বাংলার শ্রেষ্ঠ দানবীর হাজি মুহাম্মদ মহসিন ১৮১২ সালে ৭৯ মতান্তরে ৮০ বছর বয়সে হুগলির নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। তাকে হুগলির ইমামবাড়ায় দাফন করা হয়।

কেউ কেউ মনে করেন নবাব সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে মহসিনের খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। মুর্শিদাবাদ মাদ্রাসায় শিক্ষা শেষ করে মহসিন চাকুরি পান নবাব দরবারে। কিন্তু তা ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন হুগলীতে মন্নুজানের কাছে। উল্লেখ করা যেতে পারে মুর্শিদাবাদ মাদ্রাসায় পড়ার সময় মহসীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল নবাব সিরাজের সঙ্গে। এই সিরাজের প্রকৃত নাম ছিল মির্জা মহম্মদ। মহাসীনের ভগ্নিপতি অর্থাৎ মন্নুজানের স্বামী কবি ও রাজনীতিক মির্জা সালাহউদ্দিন মুর্শিদাবাদের নবাব এস্টেটে চাকুরি করতেন। নবাবের দূত হিসাবে মারাঠাদের সঙ্গে সন্ধি স্থাপনে সালাহউদ্দিন খুবই দক্ষতার পরিচয় দেন। আর তার ফলে নবাব আলীবর্দি খাঁ তার দক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে কয়েকটি এলাকার জায়গীর প্রদান করেন।

হাজী মুহম্মদ মুহসীনকে আমরা দানবীর বলে জানলেও তিনি একজন বড় মাপের সঙ্গীতজ্ঞ ও গণিতশাস্ত্রবিদও ছিলেন। মহসিন ১৮১২ সালে মারা গেলে তার সম্পদ পরিচালনা নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম শুরু হয় বলে কেউ কেউ ইতিহাসে উল্লেখ করেছেন।

১৮৩৫ সালে সকল আইনি ঝামেলা মিটিয়ে সরকার মহসিন ট্রাস্টের দায়িত্ব গ্রহণ করে। ১৮৩৫ সালেই এই ট্রাস্টের অর্থে প্রতিষ্ঠিত হয় হুগলী মহসিন কলেজ এবং এই কলেজের সাথে হাজী মুহসীনের অর্থে পূর্বে নির্মিত দুটি স্কুলকে মিলিয়ে দেয়া হয়। উল্লেখ্য এইটিই ভারতবর্ষের প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা কলেজ যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যে-কেউ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারতো। এর আগে ১৮১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ ছিল শুধু ‘the sons of respectable Hindoos’ এর জন্য এবং ১৮১৮ ও ১৮২০ সালে প্রতিষ্ঠিত শ্রীরামপুর কলেজ ও বিশপস কলেজ ছিল খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, ভূদেব মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অক্ষয়চন্দ্র সরকার, স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী, শরৎচন্দ্র টট্টোপাধ্যায় প্রমুখ ভুবনবিশ্রুত বাঙ্গালিরা সবাই এই হুগলী মহসিন কলেজের ছাত্র ছিলেন এবং মহসিন ফান্ডের বৃত্তি ব্যবহার করেছেন । অবশ্য ১৮৩৫ সালে ইংরেজ সরকার এর নাম হুগলী মহসিন কলেজ রাখলেও কোনো অব্যাখ্যেয় কারণে দিনে দিনে মানুষের বলায় ও লেখায় এর নামটি দাঁড়ায় শুধু হুগলী কলেজ। মুহসীন শব্দটি ঝরে পড়ে যায়। ১৮৬০ সালের পরে কোনো কাগজপত্রে কিংবা সাইনবোর্ডে আর মুহসীন নামটা দেখাই যায় না। ১৯৩৬ সালে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় কলেজটি মূল নামে ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত  গৃহীত হয় এবং সে দাবি অনুযায়ী সরকারিভাবে পুনরায় কলেজটির নাম হয় হুগলি মহসিন কলেজ।

মহসিন ট্রাস্ট তথা মহসিন এনডাওমেন্ট ফান্ড এর সৃষ্টি শুধু হুগলি মহসিন কলেজ নয়। হুগলিতে একটি হাসপাতাল নিয়মিতভাবে এই অর্থে চলছে। মহসিনের সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেটের অধিকাংশ জমি ছিল যশোর ও খুলনায়। এই ট্রাস্ট এস্টেটের জমিতে অনেকগুলো দাতব্য হাসপাতাল, সরকারি অফিস, খুলনা-কলকাতা রেললাইন ছাড়াও গড়ে ওঠে অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। খুলনার দৌলতপুরের সরকারি ব্রজলাল কলেজের ৪২ একর জমির ৪০ একরই মহসিনের সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেটের জমি। ব্রজলাল কলেজের অনেক আগে ১৮৬৭ সালে  মহসিন এনডাওমেন্ট ফান্ড এর অর্থে দৌলতপুরে  তৈরি হয় একটি এ্যাংলো ভার্নাকুলার স্কুল। ১৯৩৯ সালে এর নামকরণ হয় দৌলতপুর মহসিন হাই ইংলিশ স্কুল। ১৮৮৬ সালে সরকারি অর্থে খুলনা জেলা স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু কিছুদিনেই স্কুলটি অর্থাভাবগ্রস্ত হয়ে পড়লে সরকারি সেই স্কুলটির জন্যও সরকার মহসিনের সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেট থেকে অর্থ মঞ্জুর করেন।

এছাড়াও মহসিনের সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেটের অর্থে খুলনার দৌলতপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় মহসিন বালিকা বিদ্যালয়, ও  মহসিন মহিলা কলেজ।১৮৭৪ সালে  মহসিন এনডাওমেন্ট ফান্ড এর অর্থে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে তিনটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকার মাদ্রাসাটি এখন সরকারি কবি নজরুল কলেজ ও চট্টগ্রামের মাদ্রাসাটি এখন হাজি মহম্মদ মহসিন কলেজ। আর রাজশাহিরটি এখন রাজশাহি গভর্নমেন্ট মাদ্রাসা নামে রাজশাহি বোর্ডের অধীনে ইসলামি শিক্ষা শাখায় আই এ সার্টিফিকেট প্রদানের প্রতিষ্ঠান রূপে চলছে।নবাব আব্দুল লতিফ, নবাব খাজা আব্দুল গণি প্রমুখের আবেদন নিবেদনের ভিত্তিতে ১৮৭৩ সালে সরকার মহসিন এনডাওমেন্ট ফান্ডের অর্থে স্কলারশিপ মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সরকার আরো সিদ্ধান্ত নেয় যে, যশোর, রংপুর, পাবনা, ফরিদপুর, বাকরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নোয়াখালি ও সিলেট জেলার স্কুলগুলোতে মুসলিম ছাত্রদের দুই তৃতীয়াংশ বেতন ও একজন আরবি শিক্ষকের বেতন এই ফান্ড খেকে দেয়া হবে। ১৯৩১ সালে বেঙ্গল এডুকেশন কোড মহসিন ফান্ডের বৃত্তির পরিমাণ ও সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করে দেয়।

মহান দানবীর মহসিন তাঁর অসামান্য দানের কারণে কিংবদন্তীতে পরিণত হন। তাঁর স্মরণে হুগলিতে প্রতিষ্ঠিত হয় হুগলি কলেজ। বাংলাদেশের ‘চট্টগ্রাম সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ’ প্রতিষ্ঠা হয় তাঁর ওয়াকফকৃত অর্থ থেকে প্রাপ্ত অনুদানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মহসিন হল’ এবং ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি ‘বিএনএস হাজি মহসিন’ও তাঁর স্মরণে নামকরণ করা হয়। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে রয়েছে মহিপুর হাজি মহসিন সরকারি কলেজ।

আল্লাহ তাআলা বাংলার শ্রেষ্ঠ মুসলিম দানবীর হাজি মুহাম্মদ মহসিনের সকল দানকে কবুল করুন। তাঁকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। তাঁর দানের অনুপ্রেরণা আমাদেরকে দান করুন।

পার্সটুডে