দাম্ভিকতা কি সংস্কৃতিরই অংশ !

0
275

দাম্ভিকতা কি সংস্কৃতিরই অংশ !

প্রফেসর সরওয়ার জাহান

আমদের বিবেক, বুদ্ধি , মানবতা আছে বলেই  আমরা ‘মানুষ’ । স্বাভাবিকভাবেই আমদের আকৃতি, উচ্চতা, চেহারা, ব্যক্তিত্ব তা আমাদের আচরণ তৈরি করে । প্রত্যেক মানুষেই স্বতন্ত্র আচরণ করে। আচরণ একটি মনস্তাত্ত্বিক তত্ব যার মাধ্যমে পছন্দসই বা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করে।পরিবেশগত অবস্থার কারনে এক এক মানুষের আচরণ সময়ে সময়ে এক এক রকম হয়ে থাকে । যারফলে, কখনও কখনও একই ব্যক্তিকে ইতিবাচক বা নেতিবাচক দিক থেকে তার আচরণগত প্রতিক্রিয়া বুঝা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। পরিবেশগত পরিস্থিতিতে যে কোন ব্যক্তির অভ্যাস আচরণগত ফলাফল হিসাবে সহজেই ধরে নেওয়া যেতে পারে ।আচরণ আমাদের আবেগ, অনুভূতি ও মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। কর্মক্ষেত্রে তথা সমাজে সফলতা অর্জন করতে হলে আবেগ,অনুভূতি ও মনোভাব অবশ্যই পরিশীলত হতে হয়। অনেক সময় ব্যক্তিগত আচরণ প্রতিষ্ঠানে এবং সমাজে প্রভাব ফেলে।বিশেষ করে যুবসমাজের প্রতি। কার অন্তরে কী আছে তা প্রকাশ পায় একমাত্র আচরণের মাধ্যমে।আচরণের বিবিধ সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তার নিজস্ব আচরণ প্রয়েোগে খুব প্রভাবশালী।

সুন্দর আচরণ একটি শিল্প। সুন্দর আচরণকে চারিত্রিক সৌন্দর্যের মাপকাঠি বলা হয়। এটাকে মানব চরিত্রের অপরিহার্য গুণ বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে।ভাল আচরণ সমাজ সংস্কারকদের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য।প্রতিটি ধর্ম, পরিবার, প্রতিষ্ঠান সুন্দর আচরণ শিক্ষা দেয় । সুন্দর আচরণের মাধ্যমেই একজন ব্যক্তির, প্রতিষ্ঠানের বা সমাজের সার্বিক পরিচয় ফুটে ওঠে, উন্নত ব্যক্তিত্বের কারনে প্রতিষ্ঠানে বা সমাজে তার প্রভাব পড়ে । সুন্দর আচরণ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে । সমাজে এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে নিজেকে ক্ষমতাধর মনে করা, হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়ছে? হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে ডাক্তারের , রিক্সা চালকের সাথে বা টিকিট কাউন্টারে টিকিট বিক্রিতাদের সঙ্গে যাত্রীদের বাদানুবাদ আমাদের সমাজের চলমান একটা প্রক্রিয়া৷ হুট করেই একটু বেশি উত্তেজিত হয়ে যাই, আমরা একটা অস্থির সমাজের দিকে ধাবিত হচ্ছি। সে কারণে আমরা সব সময় উত্তেজিত থাকি৷ প্রকৃত কারন খুঁজে পাওয়া সহজ হয়তো হবে না তবে কাজের চাপ, আর্থিক দৈন্যতা অপরিকল্পিত জীবন-যাপন, ফাস্ট ফুড, খাদ্য অভ্যাস , মোবইল রেডিয়েশন, অতিলোভ বা ক্ষমতার দাম্বিকতা ভিন্ন আচরনের অন্যতম কারন।

 সঠিক জবাব দিহিতার অভাবে, অতি লোভ এবং প্রাচুয্যের কারনে সমাজের সর্বত্র একনায়কতন্ত্রের প্রভাব। তা পরিবার হউক প্রতিষ্ঠান হউক সর্বত্র । দুর্ভাগ্য আমরা শুধু রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের অভাব খুঁজি, আমাদের সমাজটাই একনায়কতন্ত্রের। পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে কেউকি গলা চড়িয়ে কথা বলতে পারে ? তা নিয়ে কেউ খুব একটা কথা বলে না৷ ন্যায়ের শাসনের প্রতি অবজ্ঞার কারনে আইনের শাসনও ঠিক ভাবে প্রয়োগ হয়না। আর্থিক এবং ক্ষমতার দাম্বিকতার কারনে বিক্ষুপ্ত আচরণ সমাজের উঁচুস্থান থেকে নিঁচু স্তর পর্যন্ত দেখা যায়। আর এই ক্ষমতার প্রভাব দেখাতে গিয়ে অনেকেই যুক্তি বা আইন মানে না ৷ সমাজে এই আচরণগত সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে৷ বিশেষ করে যখন দায়িত্ববানরা দায়িত্বহীনতার মত আচরন করেন । সমাজের স্বীকৃত প্রতিষ্ঠিত উচ্চপদস্থ নেতৃীত্বস্থানীয়রা যখন দৃষ্টিকটু আচরন করেন, সেটা দেখা যায় বিস্তৃতি আকারে ।

দায়িত্ববান ব্যক্তির দায়িত্বের সঙ্গে অনেক কর্তব্যও থাকে ৷ দায়িত্ববানরা সঠিক ভাবে দায়িত্বপালনে কেউ দাম্বিকতা বা ক্ষমতা প্রদর্শন করে না৷ কিন্তু দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন না করে দাম্বিকতা, অর্থের প্রভাব বা  ক্ষমতা প্রদর্শন করে নিজের উন্নতির জন্য, এই দাম্বিকতা বা  ক্ষমতা প্রদর্শন আমাদের সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে যাচ্ছে আমাদেরই অজান্তে৷

আমরা প্রায় সকলেই অধিকার আদায় করতে চাই, কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে চাই না৷আর তখনই আসে দাম্বিকতা বা  ক্ষমতা প্রদর্শন ।সর্বত্র জবাবদিহিতা থাকলে দাম্বিকতা বা  ক্ষমতা প্রদর্শন নিয়ন্ত্রনে আসবে । দাম্বিকতা বা ক্ষমতা প্রদর্শন অনেকগুলি কারনের মধ্যে প্রথমত: উপনিবেশিক আমল থেকেই প্রচলিত দ্রুটির্পূণ কাঠামোর কারনে আমাদের আাচরণেও দাম্বিকতা বা  ক্ষমতা প্রদর্শন প্রভাব দেখা যায়। স্বাধীনতা লাভের পর শাসক-প্রশাসক শব্দ থাকার কথা নয়। হওয়ার কথা সমন্বয়ক, যদিও আমরা সব সময়ই বলি প্রজাতন্ত্রর কর্মকর্তারা সেবক ।কিন্তু তার বাস্তবায়ন কোথাও দেখা যায় না। দ্বিতীয় কারন শিক্ষা ব্যবস্থা । যে দেশে চতুরমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু, সেখনেতো আাচরণে দাম্বিকতা বা  পেশীশক্তি প্রদর্শন অস্বাভাবিক হওয়ার কথা নয় । বরং অস্বাভাবিকতা হচ্ছে এই পরির্বতন বা এই অবক্ষয় রোধ করার কোন প্রতিবাদ বা চেতনাই আমাদের নাই। যাদের ভাবার কথা তারা আরও এক ডিগ্রী উপরে বসে আছেন।যারফলে অবৈচেতন মনে দাম্বিকতা , পেশীশক্তি বা  ক্ষমতা প্রদর্শন সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে আছে৷

একজন সুশিক্ষিত ব্যক্তি বা একজন উঁচু পদের কর্মকর্তা মানুষের মণিকোঠায় আদর্শ ও অনুকরণের প্রতিচ্ছবি হওয়ার কথা, অথচ আমাদের চারপাশে বাস্তবে আমরা কী দেখি ! শিক্ষিত বা প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির আস্ফালন তো দেখার বিষয় ছিল না। প্রযুক্তি র্নিভর একবিংশ শতকে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য বাদের পরিপূর্ণতার যুগে আমাদের আচরণ অত্যন্ত লজ্জাজনক ও হতাশাব্যঞ্জক ? একজন শিক্ষিত ব্যক্তি বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হবেন বিনয়ী ও অনুকরণীয় । অথচ এখন আমরা দেখছি বিনয়ী হওয়ার পরিবর্তে আত্মম্ভরিতার পরিপূর্ণ বিপরীতমুখী আচরণ দ্বারা প্রভাবিত ।শিক্ষিত বা পদস্থ কর্মকর্তা হওয়ার মাঝে একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের যেসব গুণাবলি বিকশিত হওয়ার কথা ছিল, তা যেন আজ যোজন যোজন দূরে। নীতি বাক্যগুলি তাঁদের কর্ণকুহরেও প্রবেশ করে না।  শিক্ষার আলোয় মানবীয়গুন বিকশিত হয়ে অমায়িক, বন্ধুবৎসল, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নিরূপণকারী, সৎ, কর্মঠ, যৌক্তিক-পরোপকারী গুণে প্রজ্বলিত হওয়ার কথা। এর কারন কি সামাজিক অস্থিরতা, মূল্যবোধের দীনতা, দৃষ্টিভঙ্গির বিভাজন, অনাচার ও অপসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বা অন্য কিছু কি কাজ করছে? ভিন্ন ধর্ম ভিন্ন মতের বা আদর্শের হলে আমদের আচরনে কোন ধরনের সহনশীলতা দেখা যায় না । দাম্বিকতা বা ক্ষমতা প্রদর্শন এসব ব্যক্তিরা প্রায়শই হীনম্মন্যতা এবং ব্যক্তিত্বহীনতার সংকটে ভোগে।এরা সুশিক্ষিত হতে পারে না এরা সনদধারী শিক্ষিত । মূল্যবোধের অবক্ষয় যখন হয় তখন তারা বাহুবল বা ভাষায় হুংকার ছাড়তে দ্বিধা করে না ।

ক্ষমতা প্রদর্শনের বিষয় নয়, দায়িত্বের অংশ মাত্র। তবুও আমরা ক্ষমতার দাপট পেশী শক্তি দেখাই কারন তা এখন আমাদের সংস্কৃতিরই অংশ । আর তা না দেখালে নিজেকেতো প্রতিষ্ঠিত বলা যাবে না। বিবিধ চাপে দুই-একটা ভ্যতিক্রম হতেই পারে, কিন্তু শিক্ষিত নাগরিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দাম্বিকতা বা ক্ষমতা প্রদর্শন বা অশোভন আচরন সমাজে সংক্রামক ব্যধির মত সর্বত্র  ছড়িয়ে পড়ছে । স্বাধীনতার পঞ্চাশ বৎসর পার করছি, দেশের সাফল্য আজ সর্বজন বিদিত। এখন পৃথিবীর অনেক দেশই বাংলাদেশেকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে। অর্থনৈতিক সক্ষমতার পাশাপাশি চারিত্রিক দৃঢ়তা, নৈতিক সামাজিক মূল্যবোধ আর শিষ্টাচারেও আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কথা!

পেশাজীবিদের অনেকে অনেক ক্ষেত্রে ধৃষ্টতাপূর্ণ চরম অসৌজনমূলক আচরনের কারনেই সামাজিক মূল্যবোধের এই অবক্ষয় । সমাজের সর্বত্র সচ্ছ জবাবদিহিতার প্রয়োজন৷ দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার প্রয়োজন৷ অনেক র্ধামিক ব্যক্তি বা উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তাদের মধ্যে সুন্দর আচরণের অভাব দেখা যায়। আচার-ব্যবহার সে তো একটু শালীনতা মাত্র। উত্তম আচার-ব্যবহার অর্জনের জন্য যথাযত শিক্ষা, পারিবারিক নিয়মানুবর্তিতা অপরির্হায্য। আধুনিক সভ্যতার বিপরীত স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রচলিত নীতি, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ। ক্রমশই বাড়ছে সামাজিক অবক্ষয়, নষ্ট হচ্ছে মূল্যবোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও শৃঙ্খলা। ছিন্ন হচ্ছে সামাজিক সম্পর্ক ফলে অস্থির হয়ে উঠছে সমগ্র সমাজব্যবস্থা।

পেশাজীবি-আইন প্রনয়ণকারী এবং আইনপ্রয়োগকারীদের আচরণই খুবই বেদনাদায়ক। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে যদি নীতি, সততা ও আদর্শবর্জিত হয়, তাহলে মানবিকবোধ হ্রাস পায়। এতে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, উগ্রতা, হিংস্রতা, অনৈতিকতার প্রসার লাভ করে। একজন শিক্ষক, বিচারক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষক এবং চিকিৎসকের সততা ও নৈতিকতার মাত্রা এক হলেও তাদের অসততা ও অনৈতিকতার কর্মফলের মাত্রা কোনো সভ্য সমাজের জন্য এক নয়। আদর্শচ্যুতির কারণে চিন্তাচেতনা, ধ্যানধারণা, ন্যায়রীতি, এবং মননশীলতার বিনষ্ট করে। সংশ্লিষ্ট পেশায় সততা ও নৈতিকতা অতীব গুরুত্ব সকলের কাছে। এদের সবার জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকে আজীবন ‘নৈতিকতা’ শব্দটি।

অনেকে বলেন, শালীনতা ও ভদ্র আচরণ এবং উত্তম নৈতিক চরিত্র অনেকটা স্বভাবগতভাবে হয়ে থাকে। চাইলেই সবাই তা অর্জন করতে পারে না।তবে স্বভাব চরিত্রে কোনো পরিবর্তন সাধন করা একেবারেই অসম্ভব, এ কথাও ঠিক নয়।কোমল স্বভাবের দ্বারা মানবজীবনের অনেক কঠিন ধাপ সহজেই পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।যা ‘অশোভন-অশ্লীল আচরণের দ্বারার সম্ভব নয়। পৃথিবীতে শ্রদ্ধাভরে যারা স্মরণীয় তারা প্রত্যেকেই ছিলেন এই গুণে গুণান্বিত। এজন্য মানবমনের মুকুরে স্থান করে নেয়ার প্রধান উপায় হচ্ছে কোমল আচরণ। ভদ্র, মার্জিত ও কোমল আচরণ মানবতা বিকাশের অনুপম ভূষণ।

আমাদের বিবেক, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, রুচিবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি,অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে ।হিংশা, অতিলোভ, পেশী শক্তি, দাম্ভিকতা, অপরিকল্পিত জীবন আমাদের ঘ্রাস করছে।কেবল পুঁথিগত বিদ্যায় নয় সঠিক আচরণ অভ্যাস করতে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং কেতাদুরস্ত পোশাক পদস্থ চেয়ার কাউকে প্রকৃত ভদ্রলোক বানানোর জন্য অত্যাবশ্যক নয় । এগুলো মানুষকে সুশোভিত করে কেবলমাত্র বাহ্যিকভাবে।

সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনো মানুষ বাস করতে পারে না। সমাজে বাস করতে গিয়ে মানুষ পারস্পরিক লেনদেন ও আদান-প্রদান করে থাকে। একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক সঙ্গত কারনেই হয়। মানুষের সামাজিক এই জীবনাচারের মধ্যেই তার মানবিক প্রকৃতি ফুটে ওঠে। সমাজ দর্পণে ভেসে ওঠে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তার আচরণ সম্পর্কে অবগত হয় সমাজের প্রতিটি সদস্য। মানুষ তার আচরণের মাধ্যমেই স্থান করে নেয় সবার অন্তরে। তার কৃত আচরণ মৃত্যুপরবর্তী সময়েও তাকে তুলে আনে মানুষের স্মৃতিতে। যদিও প্রতিটি আচরণ ক্রিয়াভিত্তিক, এটি অনুপ্রেরণা, চিন্তাভাবনা এবং আবেগকে উপেক্ষা করে কেবলমাত্র পছন্দসই বা নির্দিষ্ট আচরণগত প্রতিক্রিয়ার ফলাফলের উপর তার দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। যদিও এটি বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়াকলাপের মধ্যে কিছুটা সামঞ্জস্য রাখতে খুব সক্ষম। প্রকৃত জবাবদিহিতা প্রয়োগ এবং ন্যায় শাসনের মাধ্যমে আচরণের সীমাবদ্ধতাগুলি সহজেই অতিক্রম করা যায়। নতুন এই স্বাভাবিক বিশ্বে আমাদের সাম্য, সংযম, সহনশীলতা ও সহর্মমিতা গড়ে তুলার অঙ্গীকারই রিয়ে যাবে বৈচিত্রের ঐকতান।

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা, সাদার্ন ইউনিভার্সিটি ও টেকসই উন্নয়নকর্মী