বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ, সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের চাল সরবরাহের লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে নয়টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গ্রেট হল অব দি পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের উপস্থিতিতে দুটি ঋণ চুক্তিসহ এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এর আগে দুদেশের নেতারা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
স্বাক্ষর হওয়া চুক্তিগুলো হলো-
১.রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য সংক্রান্ত এলওসি।
এর আওতায় মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য চীন ২ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।
২. সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পর্যটন কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা স্মারক
৩. ইয়ালু ঝাংবো ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক ও তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা
৪. ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট
৫. বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে অর্থনীতি ও কারিগরি সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি
৬. ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা নিয়ে সমঝোতা স্মারক
৭. পিজিসিবি প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ গ্রিড নেটওয়ার্ক জোরদার প্রকল্পের জন্য ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট
৮. ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে গভর্নমেন্ট কনসেশনাল লোন এগ্রিমেন্ট এবং
৯. ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে প্রিফারেনশিয়াল বায়ার্স ক্রেডিট লোন এগ্রিমেন্ট।
বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ বেশিরভাগ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এছাড়া পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সচিব ড. মো. আবু জেনা মোস্তফা কামাল একটি করে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
বিএম/এমআর
