যে খবর দেশের গণমাধ্যমে নাই

0
19

যে খবর দেশের গণমাধ্যমে নাই সে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের শিরোণাম

সম্প্রতি কলকাতার আনন্দ বাজার পত্রিকার এক শিরোণামে দেখা যায়, মলদ্বীপের মতো ভারত-বিরোধী প্রচার বাংলাদেশেও ।

সংবাদে ঢাকায় ভারত-বিরোধী সুর প্রকট হওয়ার নেপথ্যে যে সব কারণকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়।এতে বলা হয়, বাংলাদেশের একটি অংশ ভারত বিরোধিতায় গলা চড়তে শুরু করেছে। প্রতিবেশী বলয়ে এই ঘটনার অভিঘাতকে কিছুটা আশঙ্কার চোখেই দেখছে বিদেশ মন্ত্রনালয়। আর তাই ঢাকায় ভারত-বিরোধী সুর প্রকট হওয়ার পিছনে অনেকগুলি কারণকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।

ভারতের বাজারে পেঁয়াজের জোগানে সঙ্কট এবং তার জেরে দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় মোদী সরকার রফতানিতে রাশ টেনেছিল। গত বছর থেকেই দুই বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে পিঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করে দেয় ভারত। বিষয়টি নিয়ে বার বার আবেদন জানান হাসিনার মন্ত্রী এবং সরকারি কর্তারা। আনন্দ বাজার পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি সে দেশে ভারত বিদ্বেষের ঢেউ তৈরি হয়েছে। তাই রমজান এবং ইদের আগেই ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ঢাকাকে পাঠিয়েছে দিল্লি।

সংবাদ অনুযায়ী গত মাসেই ঢাকার পান্থপথ অঞ্চলের কিছু দোকান ভারতীয় পণ্য তুলতে অস্বীকার করে। অথচ সেখানে ভারতীয় পণ্যই বেশি রাখা হয়। ঢাকা-চট্টগ্রামের অনেক দোকানদার এবং কর্মী বলেছেন, ভারতের তৈরি রান্নার তেল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্রসাধনের সরঞ্জাম ও জামাকাপড়ের বিক্রি কিছুটা কমেছে। দেশের বাইরে অনেক বাংলাদেশি ভ্লগার অনলাইনে ভারত-বিরোধী প্রচার তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন।

কূটনৈতিক মহলের মতে, এর ফলে ভারত থেকে বাংলাদেশের রফতানিতে যে বড় ধাক্কা লেগেছে তা নয়। কিন্তু প্রতিবেশী বাংলাদেশে এমন ভারত-বিরোধী উত্তাপ, নয়াদিল্লির চিন্তা বাড়িয়েছে। পত্রিকায় বলা হয়, মলদ্বীপে ‘ভারত তাড়াও’ প্রচার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশে তার প্রভাব থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চার্য্যের বিষয় হচ্ছে এ ব্যপারে বাংলাদেশের কোন গণমাধ্যমে কোন সংবাদ প্রচার করা হয় নাই। অথচ ভারতীয় পত্রিকায় শিরো্নাম হয়েছে।