চীন সফর শেষে দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী

0
877

চীনে পাঁচ দিনের সরকারি সফর শেষে বেইজিং থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে তাকে বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়া সেখানে তাকে দেয়া হয় ‘স্টাটিক গার্ড’ও।

বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উপস্থিত ছিলেন দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বিমানটি বিকালে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

চীন সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট জিং জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি চীনের দালিয়ান শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) অ্যানুয়াল মিটিংয়ে যোগদান করেন এবং ‘কোঅপারেশন ইন দি প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং’র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মিয়ানমারকে বোঝানোর বিষয়ে বেইজিং ঢাকাকে আশ্বস্ত করে।

দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানের বিষয়ে বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, ‘এতে কোন সন্দেহ নাই যে, এটা (রোহিঙ্গা সমস্যা) বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা।’

তিনি এই সমস্যা দ্বিপাক্ষিক সমাধানের পক্ষে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করে এ বিষয়ে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও উল্লেখ করেন।

বেইজিংয়ে অবস্থানকালিন শেখ হাসিনা কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) মিনিস্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সঙ্গ তায়ো’র সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সিপিসি মিনিস্টার প্রলম্বিত রোহিঙ্গা সমস্যাটি সমাধানের বিষয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি এবং অন্যান্য মিয়ানমারের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার দলের আলোচনার বিষয়ে শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা এবং বেইজিং’র মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত ৯টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ৪ জুলাই চীনা প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন সিপিসি’র কার্যালয় গ্রেট হল অব দ্যা পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিংয়াং এর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়।

শেখ হাসিনা ডব্লিউইএফ’র প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াব এবং বিভিন্ন চীনা কোম্পানীর সিইওদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজনের অনুষ্ঠিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং তিয়েনমেন স্কয়ারে চীনা বিপ্লবের বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পাঞ্জলি অর্পণ করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

শেখ হাসিনা গত ১ জুলাই পাঁচ দিনের সরকারি সফরে ঢাকা থেকে চীনে পৌঁছেন।

বিএম/এমআর