‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক’ ২০২০ থেকে

0
819

সমাজকল্যাণে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ পদক দিয়ে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি বছর পাঁচ জন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেওয়া হবে। এখানে মাদার অব হিউম্যানিটি বলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোঝানো হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় নীতিমালা অনুমোদনের পর আগামী বছর (২০২০) থেকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক’ দেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, আগামী বছরের ২ জানুয়ারি জাতীয় সমাজসেবা দিবসে এ পদক দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।

পদক দিতে ইতোমধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে মনোনয়ন আহ্বান করে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।

অনগ্রসর মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা এবং মিয়ানমারের ১১ লাখ নাগরিককে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি অনুসারেই ‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক’ প্রচলন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

সমাজকল্যা মন্ত্রণালয়ের চিঠি অনুযায়ী, জেলা পর্যায়ের কমিটিতে আবেদন গ্রহণ ৩১ জুলাই, জেলা কমিটিতে মনোনয়ন চূড়ান্ত ১৭ আগস্ট, জেলা কমিটির মন্ত্রণালয়ে মনোনয়ন সুপারিশ পাঠানো ৩১ আগস্ট, মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান মনোনয়ন চূড়ান্তকরণ ২০ আগস্ট, জাতীয় কমিটির মনোনয়ন চূড়ান্তকরণ করা হবে ১৫ অক্টোবর।

জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য মনোনয়ন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে ৩১ অক্টোবর। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর পুরস্কার চূড়ান্ত হবে।

এর আগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর ‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা, ২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
নীতিমালা অনুযায়ী, পাঁচটি ক্ষেত্রে এ পুরস্কার দেয়া হবে। বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহিতা মাহিলাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনে অবদান। প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা, আত্মনির্ভরশীলকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেয়া হবে।

এ ছাড়া প্রতিবন্ধী ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণ, জীবনমান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, ইনক্লুসিভ শিক্ষা বাস্তবায়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান; সুবিধাবঞ্চিত, আইনের সংস্পর্শে আসা, আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশু, কারামুক্ত কয়েদি, ভবঘুরে, নিরাশ্রয় ব্যক্তিদের কল্যাণ, উন্নয়ন ও পুনঃএকত্রীকরণ এবং কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এমন কোনো কর্ম যা সমাজের মানুষের মেধা ও মননেন বিকাশ, জীবনমান ও পরিবেশের উন্নয়ন, সমাজবদ্ধ মানুষের মানসিক ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সর্বোপরি মানবকল্যাণ ও মানবতাবোধ সমাজ বা রাষ্ট্রকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এ পুরস্কার দেয়া হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, পদকের সংখ্যা হবে প্রতি বছর ব্যক্তি পর্যায়ে তিনটি এবং সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে দুটিসহ মোট পাঁচটি। মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও সংস্থাকে ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ২ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননা সনদ দেয়া হবে।

বিএম/এমআর