সাগর-রুনি হত্যা : তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ ৭০ বারের মতো পেছাল

0
540

সাগররুনি হত্যা : তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ ৭০ বারের মতো পেছাল

দখিনা ডেস্ক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন  মেলেনি এখনো ।দাখিলের জন্য আবারও নতুন তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৭০ বার পেছাল।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ৩০ ডিসেম্বর সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস নতুন তারিখ ধার্য করে এ আদেশ দেন। মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য দিনে আজ তদন্ত সংস্থা র‍্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন এ দিন ধার্য করেন আদালত।রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। চারদিনে কোনো রহস্য উৎঘাটন করতে না পারায় মামলার তদন্ত পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু তারাও রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র‌্যাব তদন্তভার গ্রহণ করে। গত সাত বছরেরও বেশি সময়ে র‌্যাব তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্যই উদঘাটন করতে পারেনি।

সাগর-রুনি নিহত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল প্রকৃত ঘটনার রহস্য উম্মোচনের বিষয়ে। মামলার তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের সাত মাসের মাথায় এসে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব আসামিদের অচিরেই শনাক্ত করার আভাস দিয়েছিল। হত্যাকাণ্ডস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু রহস্য উৎঘাটনের ফলাফল শূন্যই থাকে। তদন্ত সংস্থা মাঝে মাঝে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, রহস্য উৎঘাটনে কাজ চলছে। তদন্ত সংস্থার ওই ধরনের প্রতিবেদনের ভেতরই মামলার তদন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে।