৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র বিজয়’ এবং ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি

0
630

৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র বিজয়এবং গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর পূর্ণ হবে ৩০ ডি‌সেম্বর সোমবার। এ দিনটিকে ঢাকাসহ সারা‌দে‌শে ‘গণতন্ত্র বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন, সোমবার বিকাল ৩টায় সারা দেশে বিজয় দিবস পালন করা হবে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সাম‌নে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে পূর্বঘোষিত সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ার প্রতিবাদে ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর সব থানায় একাদশ সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকীকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে  পালনের ঘোষণা কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।  নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এদিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একবছর পূর্তি উপলক্ষে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। রিজভী বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে পোশাকে-সাদা পোশাকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশের গলিতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ । তিনি বলেন  যখন-তখন যেকোনো স্থানে সমাবেশ করতে পারে আওয়ামী লীগ । অথচ ভিন্নমতের মানুষের সে অধিকার নেই।

দিবসটি উপলক্ষে নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় অফিসগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে হবে সমাবেশ। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার ২৯ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত ভোটাধিকার হরণ ও ভোটডাকাতির ভয়াল রাত ছিল ২৯ ডিসেম্বর। এ রাত দেশবাসীর কাছে তাদের ভোটাধিকার হরণের কালোরাত হিসেবে কলঙ্কিত হয়ে থাকবে। ৩০ ডিসেম্বর কোনো ভোট হয়নি বাংলাদেশে। তাই এই আওয়ামী লীগকে অনন্তকাল রাতের ভোটডাকাতির কলঙ্কতিলক বহন করে যেতে হবে, যেমন এখন পর্যন্ত প্রতিটি সচেতন মানুষ তাদের গণতন্ত্র হত্যাকারী ও বাকশালী বলে অভিহিত করে। তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই- অতিদ্রুত মিডনাইটের সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে যেন একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৯৯টি আসনে একযোগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে। মোট ২৯৮ জন সংসদ সদস্যের নামে গেজেট জারি করা হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই জিতে ২৫৭টি আসনে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দলটি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে। এই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোট পায় ৭টি আসন।