চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এস কে সিনহা) পলাতক ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তাদের গ্রেপ্তার করা গেল কি না- সে বিষয়ে পুলিশকে ২২ জানুয়ারি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে আদালতের আদেশে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তাদের বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।
আসামিদের মধ্যে কেবল বাবুল চিশতী অন্য মামলায় কারাগারে আছেন। ঋণ জালিয়াতির এই মামলায় এখনও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি বলে আদালত রীতি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে।
গেল ৯ ডিসেম্বর দুদক কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ ওই ১১ জনকে আসামি করে ঋণ জালিয়াতির এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। তাতে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে সেই টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, উত্তোলন ও পাচার করেছেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।