ইরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত গ্রেফতার
১১ জানুয়ারি শনিবার ইরানের রাজধানী তেহরানে একদল ইরানি বিকালে তেহরানের আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীরা প্রথমে প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হলেও বিকেলের দিকে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ম্যাকেয়ার। পরে তা বিক্ষোভে রূপ নিলে তিনি দূতাবাসে ফিরে যাচ্ছিলেন।ব্রিটিশ দূতাবাসে যাওয়ার পথে একটি সেলুনে ঢোকেন। তখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তিন ঘণ্টার মতো আটক রাখার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ইরানে বিক্ষোভে উসকানিমূলক তৎপরতা চালানোর অভিযোগে তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকএয়ারকে গ্রেফতারের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্য। তাদের দাবি, রব ম্যাকেয়ারকে গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ইরান।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রসচিব ডমিনিক রাব একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, ‘কোনো রকম কৈফিয়ত ছাড়াই আমাদের রাষ্ট্রদূতকে গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে তেহরান। এই মুহূর্তে সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইরান সরকার। হয় রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একঘরে হওয়ার পথে এগোক তারা, নইলে কূটনৈতিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনে পদক্ষেপ করুক।’
গত বুধবার ৮ জানুয়ারি তেহরানে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী প্লেন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ (ফ্লাইট- পিএস৭৫২) বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭৬ আরোহী প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে ৮৮ ইরানি, ৬৩ কানাডিয়ান, ৯ ইউক্রেনীয়, ৪ আফগান, ৪ ব্রিটিশ ও ৩ জার্মান ছিলেন। এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ইরানের দিকে উঠলেও তারা তা অস্বীকার করে। অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর সামরিক বাহিনীর অনিচ্ছাকৃত ভুলে ১৭৬ আরোহীসহ ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ভূপাতিত করার কথা গতকাল শনিবার তেহরান স্বীকার করে।
![](http://dakhina.com/wp-content/uploads/2020/03/unnamed.jpg)