পাবনায় সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবসে নানা কর্মসূচি

0
736

ভারত উপমহাদেশের বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবস শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি)। দিনটি উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে পাবনা জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

মহানায়িকার ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পাবনা জেলা প্রশাসক, সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদ, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, পাবনা ড্রামা সার্কেলসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। দিনটি স্মরণ করার জন্য মহানায়িকার স্মৃতিবিজড়িত সংগ্রহ শালায় শেষ মূহুর্তের সাজ্জার প্রস্তুতি চলছে। পাবনা শহরের হেমসারগ লেনে অবস্থিত বাড়িটি সংগ্রহশালা করে দর্শণার্থীদের দেখার জন্য ব্যবস্থা করে পাবনা জেলা প্রশাসন।সকালে মহানায়িকার পৈত্রিক বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেলে সংগ্রহশালা চত্বরে প্রদর্শিত হবে সুচিত্রা সেন অভিনীত বাংলা ছবি।

পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহামুদ জানান, বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্মৃতি সংগ্রহশালা করা হয়েছে। সল্প পরিসরের এই জায়গাটি যতোটুকু সৌন্দর্য বর্ধন করা যায় আমরা সেটি চেষ্টা করেছি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের অর্থ বরাদ্দের একটি প্রক্রিয়া চলছে জায়গা অধিক গ্রহণের জন্য। প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে জায়গা ও এই স্থানে একটি আধুনিক কমপ্লেক্স স্থাপন করা হবে। আশা করছি স্বল্প দিনের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে।

১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনার গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের জন্মগ্রহণ করেন। সুচিত্রার শৈশব কৈশর কাটে পাবনাতে। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন পাবনা পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেকটর ও মা ইন্দ্রিরা দাশ গুপ্ত ছিলেন গৃহীনি। বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তান ছিলেন সুচিত্রা সেন। ১৯৪৭ সালে কলকাতার বিশিষ্ট বাঙালি শিল্পপতি আদিনাথ সেনের ছেলে দীবানাথ সেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের ঘরে একমাত্র সন্তান মুনমুন সেন। সুচিত্রার বাড়িতে তার ডাক নাম ছিলো রমা সেন। পাবনার মহাখালি পাঠশালায় প্রাইমারি পাঠ চুকিয়ে তিনি ভর্তি হন পাবনা গার্লস স্কুলে। এখানে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন তিনি। ১৯৬০ সালে বসতভিটা রেখে সপরিবারে পাড়ি জমান কলকাতায়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

১৯৫২ সালে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রথম পা রাখেন। ১৯৫৩ সালে মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে সাড়ে চুয়াত্তর ছবি করে সাড়া ফেলে দেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে। সুচিত্রা সেন বাংলা ও হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি দেবদাস (১৯৫৫) ও ১৯৭৮ সালে প্রণয় পাশা তা শেষ ছবি।