সকল জ্বলপনা-কল্পনার তর্ক-বির্তকের অবসান ঘটিয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন চলছে । এবার নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে।
এরই মধ্যে গত ১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছিলেন, মার্চ মাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হতে পারে। তিনি বলেন, এপ্রিল মাস রমজানের মাস, সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষাও রয়েছে। মার্চ মাস ফাঁকা আছে কিনা তাও দেখতে হবে। তবে মার্চ মাস একটি উপযুক্ত সময় হতে পারে। মার্চে পরীক্ষা তেমন একটা নেই। নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে ভোট কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে ৭১৯টি কেন্দ্র র্নিধারণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সভায় বসবেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাসহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা। জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাস নির্ধারণে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে প্রস্তুতি হিসেবে ভোট কেন্দ্র, বুথের সংখ্যা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যা ও ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। ১ মার্চ প্রকাশ করা হতে পারে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩ জন এবং নারী ভোটার ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৬ জন। এবার প্রায় দেড় লাখ ভোটার বাড়তে পারে।
সিইসির বক্তব্যের পর চট্টগ্রামের রাজনীতিতে বইতে শুরু করেছে অন্যরকম আবহ। সিইসির বক্তব্য দেওয়ার সাথে সাথে তোড়জোড় শুরু হয়েছে সম্ভাব্য মেয়রপ্রার্থীদের। অতিতের যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমান নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও বড় দুই দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা ও বিশ্লেষণ। তবে সিটি নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ তৎপরতা বেশ জোরালো হলেও বিএনপিতে অনেকটাই উল্টো চিত্র। নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে নানা অনিশ্চয়তা । ইতি মধ্যে আওয়ামী লীগে সম্ভাব্য পার্থীদের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দোড়-ঝাপ শুরু হয়ে গেছে ।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি শপথ নেন ৬ মে। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতায় মেয়র দায়িত্ব নেন ওই বছরের ২৬ জুলাই। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনে ২০২০ সালের ৫ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
