দেশের উচ্চশিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল’ চেয়ারম্যান এবং কমিশনের সদস্যদের নিয়ে গত ১৩ জানুয়ারী থেকে সকল সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে ধাপে ধাপে প্রথমবারের মত এক মতবিনিময় ও র্কমশালা মহাখালি অস্থায়ী র্কায্যলয়ে অনুষ্ঠিত হয় । অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর্চায্য , সহ-উপর্চায্য , ট্রাস্টি র্বোডের সদস্যদের নিয়ে মতবিনিময় ও র্কমশালায় ‘অ্যাক্রেডিটেশন’ সনদপ্রাপ্তি সম্পর্কে আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ।
অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল উচ্চশিাক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক বছরের জন্য কনফিডেন্স’ সনদ দেবে। এই সনদ নিয়ে অ্যাক্রেডিটেশন’ সনদের জন্য উচ্চশিাক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাউন্সিলের কাছে আবেদন করতে হবে। অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল উচ্চশিাক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাই করে পাঁচ বছরের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করবে। কনফিডেন্স বা অ্যাক্রেডিটেশন সনদ ছাড়া কোনো উচ্চশিাক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞপ্তি বা প্রসপ্রেসক্টাসে প্রতিষ্ঠানটি অ্যাক্রেডিটেশনপ্রাপ্ত’ লিখতে পারবে না। অ্যাক্রেডিটেশন সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে সবার দেখার জন্য সনদ অন-লাইনে উন্মুুক্ত রাখতে হবে।
অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল উচ্চশিার গুণগত মান নিশ্চিত, অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম ও উচ্চশিাক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিস্বীকৃতি এবং এই আইনের আলোকে প্রয়োজনীয় বিধি ও প্রবিধিমালা প্রস্তুত করবে। উচ্চশিাক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফিসহ ‘কনফিডেন্স’ সদনের জন্য নির্ধারিত ফরমে কাউন্সিলে আবেদন করতে হবে। কাউন্সিল ইস্যুকৃত কনফিডেন্স সনদ এক বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে উচ্চশিা প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদের জন্য কাউন্সিলে আবেদন করতে হবে। কাউন্সিল ‘কনফিডেন্স’ সদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচ বছরের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দেবে। আইন অনুযায়ী, অ্যাক্রেডিটেশন সনদপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান অ্যাক্রেডিটেশন সনদের শর্ত লঙ্ঘন করলে এই সনদ প্রত্যাহার করতে পারবে কাউন্সিল। এ ছাড়া অ্যাক্রেডিটেশন সনদপ্রাপ্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বিধি-লঙ্ঘন করলে এবং এর জন্য দোষী প্রমাণিত হলে খসড়া আইনে অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কাউন্সিলের কোনো সিদ্ধান্তে সংুব্ধ হলে যেকোনো উচ্চশিাক্ষা প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে।