চট্টগ্রাম শহরের বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে চট্টগ্রাম নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নকশা না মেনে পাহাড় কেটেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সড়ক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যতটুকু দেখেছি তাতে প্রমাণ হয়েছে এ রাস্তা তৈরিতে নকশা মানা হয়নি। পরিদর্শন শেষে কি করা যায় তা বিকেলে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
পরিবেশের ক্ষতিপূরণ ১০ কোটি টাকায় সমাধান হতে পারে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। এটি টাকার অঙ্কের কোনো বিষয় না, মানুষের যানমালের বিষয়। কাজেই আমি মনে করি, রাস্তাটি পরিকল্পনা অনুযায়ী করলে যানমালের কোনো ক্ষতি হতো না। পাহাড়ে স্লোপ রাখার প্রয়োজন আছে বলেই নকশাতে তা রাখা হয়েছে। কিন্তু পাহাড় কাটার সময় স্লোপ রাখা হয়নি। তিনি আরও বলেন, যেভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে সেটা যে করেই হোক আমাদের বন্ধ করতে হবে। এজন্য সচেতনতা দরকার, যা গণমাধ্যম তুলে ধরবে।
চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহাম্মদ বলেন, “সামনের বর্ষা মৌসুমে পুরো এলাকা যে কোন সময় পাহাড়ধ্বসে আক্রান্ত হতে পারে। যে হারে তারা পাহাড় কেটেছে সেটা তারা ইচ্ছে করলে এড়িয়ে যেতে পারত। এটা পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রতি ভয়ানক মানসিকতা।”
প্রসঙ্গত, নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে অনুমোদনের অতিরিক্ত ১৮টি পাহাড় কাটায় চট্টগ্রাম নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। ১৯৯৭ সালে প্রকল্পটি প্রথম গ্রহণ করা হলে প্রাথমিকভাবে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৩ কোটি টাকা। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয় এ প্রকল্প। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। যার ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয় ৩২০ কোটি টাকা।