কুয়েতে মানবপাচার ও অর্থপাচারে বাংলাদেশের সংসদ সদস্যকে জড়িয়ে প্রকাশিত খবরকে ভিত্তিহীন বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ঘটনায় নাম আসার পর সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম পাপুল এসব অভিযোগকে বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত করবে দুদক।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে গেলো বুধবার আরবি দৈনিক আল কাবাসে প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। তবে প্রতিবেদনে নাম-পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।
পরে বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। যেখানে বলা হয়, ঘটনায় জড়িত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুল।
অভিযোগ আনা হয়, কয়েক বছরে ২০ হাজার মানুষ কুয়েতে পাচার করে অন্তত এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। জনশক্তি রপ্তানির কার্যাদেশ পেতে, কুয়েতের সরকারি কর্মকর্তাদের পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি ঘুষ দেয়ারও অভিযোগ আনা হয়।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ তদন্ত করা হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলবো বিষয়টি তদন্ত করতে। এখানে যদি কোনো প্রকার দুর্নীতির অভিযোগ থাকে তবে অবশ্যই তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।”
কুয়েতে মানবপাচারে সংসদ সদস্য জড়িত- গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবর ভুয়া বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, “সংবাদে যে সংসদ সদস্যের কথা বলা হচ্ছে আমরা শুনেছি সেটা ফেইক নিউজ। আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই, আমাদের মিশন ওখানে থেকে কোনো খবর দেয়নি।”
সংসদ সদস্য বলছেন, এসব প্রতিবেদন বানোয়াট। বিপক্ষের কোনও শক্তি এসব করাচ্ছে বলে তার দাবি। তার প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হচ্ছে। কিন্তু পুরস্কারের বদলে করা হচ্ছে তিরস্কার- এ কথাও বলেন তিনি। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম বলেন, “উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে, নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত আমি প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশির কর্মসংস্থান করে দিয়েছি। আমার পুরস্কৃত হওয়া উচিৎ। কিন্তু আমাকে হেয় করা হচ্ছে।”